শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি বলেছেন, ৩০ শে মার্চ সমস্ত স্কুল, কলেজ পুনরায় চালু হবে।শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে বের হবার সময় এই ঘোষণা দিয়ে আসেন।
ডাঃ দিপু মনি আরও বলেন, ক্লাস শুরুর আগেই সকল শিক্ষক ভ্যাকসিন করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন। “শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি, আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষার্থী ১৭ই মে এর আগে টিকা গ্রহণ করবেন।” এর আগে সোমবার শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন যে, ২৪শে মে সমস্ত সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পূনরায় শুরু হবে।
ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আবাসিক হলগুলি ১৭ ই মে পুনরায় চালু করা হবে।তবে ক্লাস হবে অনলাইন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় চালু হওয়ার আগে কোনও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে মন্ত্রী আরও জানান।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
২০২০ সালের ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান মেলার খবর নিশ্চিত করার পর সরকারের পক্ষ থেকে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা হয়। শিক্ষার্থীদের ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য এই বন্ধের সময়সীমা বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ এই বছরের ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই বন্ধের সময়সীমা দীর্যায়িত করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি
শনিবারের প্রথম অবধি বাংলাদেশ আরও ৪০৭ টি কোভিড -১৯ সংক্রমণের নতুন কেস রেকর্ড করেছে। অর্থাৎ মহামারী শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৫৪৫৮৩১ জন লোকের করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে এবং প্রতিদিনের সংক্রমণের হার বেড়ে ৩.৩০% হয়েছে, যা শুক্রবারে ৩.১৩% ছিল।
এছাড়াও, দেশে নতুন করে পাঁচজন কোভিড -১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ফলে দেশব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮,৪০০ জনে এবং মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১.৫৪%। স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিদপ্তরের জেনারেল বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন।
সামগ্রিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১৩.৫৪%। তবে, এখনও পর্যন্ত সর্বমোট ৪৯৬,১০৭ জন রোগী এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অর্থাৎ মোট সেরে উঠার হার হলো ৯০.৮৯%। ৮ই মার্চ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৪,০৩০,৬১৬ টি করোনা টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টিকা অভিযান
বাংলাদেশ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে দেশব্যাপী করোনাভাইরাস টিকা দেওয়ার প্রচারণা শুরু করে। হত শনিবারের মধ্যে দেশে ২,৯৮৪,৭৭৩ জন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয় ডোজটি প্রথম ডোজের কিছু দিনের মধ্যে নিতে হয়।
সরকার বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সাথে বাংলাদেশ করোনা ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজের একটি চুক্তি সম্পাদন করে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে প্রতি মাসে পাঁচ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করবে বলে জানানো হয়।
৪০ বছর বা তার বেশি বয়সী লোকেরা www.surokkha.gov.bd তে এই ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। অন স্পট রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের পক্ষ থেকে টিকা গ্রহণ করার পরেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা বিশেষভাবে মেনে চলার জন্য আহ্বান জানানো হয়।#