Wednesday, November 29, 2023

২১ জানুযারী ভারত থেকে উপহারস্বরূপ ২০ লক্ষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে বাংলাদেশ

২১ জানুযারী ভারত থেকে উপহারস্বরূপ ২০ লক্ষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে বাংলাদেশ

২১ জানুযারী ভারত থেকে উপহারস্বরূপ ২০ লক্ষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে বাংলাদেশ। ভারত সরকার ২১ জানুয়ারী বাংলাদেশকে উপহার হিসাবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের (কোভিশিল্ড) ২০ লক্ষ ডোজ সরবরাহ করবে।

মঙ্গলবার বিকেলে ইউএনবির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এটি নিশ্চিত করেন।সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ২৫-২৬ জানুয়ারী বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম চালান গ্রহণ করবে।মন্ত্রী বলেন, “ডব্লিউএইচওর নির্দেশিকা অনুসারে যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাদেরকে আমরা প্রথমে টিকার আওতায় নিয়ে আসব। এক্ষেত্রে বয়স্ক ব্যক্তিরাও অগ্রাধিকার পাবে। ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিরা এই টিকা পাবেন না বলে স্বাস্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টারস’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলো বলেন।আইসিটি বিভাগ সঠিকভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে একটি অ্যাপ তৈরি করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।জাহিদ মালেক বলেন, সরকার আরও টিকা সংগ্রহের জন্য রাশিয়া, চীন এবং অন্যদের সাথে আলোচনা অব্যাহত রাখছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, তারা ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনটি সঠিকভাবে পুশ করার জন্য ৪২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জাতীয় কমিটিও তৈরি করেছি এবং যারা প্রথমে ভ্যাকসিনটি পাবেন তাদের একটি তালিকাও তৈরি করেছি। যেহেতু প্রতিটি সাংবাদিক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন সেই দিকে লক্ষ্য রেখে তারা ভ্যাকসিনটি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পাবেন।”

১৩ ডিসেম্বর সরকার কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে (অক্সফোর্ড / অ্যাস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিন), (প্রতি মাসে ৫০ লাখ) তিন কোটি ডোজ আমদানি করবে।

নগরীর মহাখালী অঞ্চলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর করেন, স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতরের (ডিজিএইচএস) মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এবং বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন। “সরকার কোভিড-১৯ ভাইরাসের টিকা(অক্সফোর্ড / অ্যাস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিন) সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সংগ্রহ করছে এবং এটি বিভিন্ন দেশে পরীক্ষার সময় নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি আমাদের আবহাওয়ার পক্ষেও উপযুক্ত।”

প্রথম পর্যায়ে সরকার ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ সংগ্রহ করছে। এই তিন কোটি ডোজ  ছয় মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আমদানি করা হবে বলেও তিনি জানান।” যদি সবকিছু ঠিক থাকে তবে আমরা আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাকসিনটি পেয়ে যাব।”  অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়াও সরকার অন্যান্য সংস্থাগুলির সাথে তাদের কোভিড -১৯ টি ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য আলোচনা করছে।#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article