১০০ ফুটের সোনালি বুদ্ধ তৈরি হচ্ছে বাঙালি শিল্পীর হাতে, তাক লাগানো ১০০ ফুটের সোনালি বুদ্ধ, গড়ে উঠছে এ শহরে বাঙালি শিল্পীর হাতে
ভারতের সবথেকে বড় বুদ্ধ মূর্তি তৈরি হচ্ছে কলকাতায়। বরানগরের ঘোষপাড়ার নৈনান বান্ধব সমিতির মাঠে জোর কদমে চলছে সেই মূর্তি তৈরির কাজ৷ ছবি- শশী ঘোষ
পরিনির্বাণের আগে সিংহশয্যায় শয়ন করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। বিশ্ব সংসারকে দিয়েছিলেন শান্তির অমৃতবাণী। সেই শয়নমুদ্রাকেই ভাস্কর্যে বন্দি করছেন শিল্পী মিন্টু পাল।
এই শায়িত বুদ্ধমূর্তি দেশের বৃহত্তম বলেই দাবি করেছে ‘বুদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল ওয়েলেফয়ার মিশন’। সারনাথে বুদ্ধের দাঁড়ানো মূর্তি রয়েছে। বুদ্ধগয়াতে ধ্যানস্থ মূর্তি। দু’টি মূর্তিরই উচ্চতা ৮০ ফুট। কলকাতায় নির্মীয়মান বুদ্ধ মূর্তির দৈর্ঘ ১০০ ফুট। ছবি- শশী ঘোষ।
বরানগরে মূর্তির প্রতিটি অংশ আলাদা ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। বুদ্ধগয়াতে নিয়ে গিয়ে জোড়া লাগানো হবে। ছবি- শশী ঘোষ।
আগামী বুদ্ধপূর্ণিমায় বুদ্ধগয়াতে এই মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কাজ এখনও বাকি। তাই সেদিন আদৌ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ছবি- শশী ঘোষ
‘বুদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল ওয়েলেফয়ার’-র মিশনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আর্যপাল ভিক্ষু জানিয়েছেন, কোশিনগরে পরিনির্বাণের আগে এই সিংহশয্যায় শুয়েই বুদ্ধ তার শেষ বাণী আওড়েছিলেন। মূর্তির পরতে পরতে সেই সর্বত্যাগী বৈরাগে্যর ছাপ, চির অবসরের আনন্দ। তাই এই মূর্তির অন্য কদর বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে।
ইতিহাসের পাতায় ঢুকতে পেরে খুশি শিল্পী মিন্টু পাল। জানালেন, গোটা বিশ্ব থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও পর্যটকরা বুদ্ধগয়াতে যান। সবাই এই স্বর্ণালী মূর্তি দেখবেন ভাবতেও ভাল লাগছে। আমরা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার পরও হয়তো কয়েক হাজার বছর থাকবে ফাইবার গ্লাসের এই মূর্তি। ছবি- শশী ঘোষ।#