হাইকোর্ট হাজী মোহাম্মদ সেলিমের অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য নিম্ন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত দশ বছরের কারাদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে মঙ্গলবার।
হাইকোর্ট হাজী সেলিমের ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মোঃ মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে সম্পদের তথ্য গোপনের জন্য দুদকের দায়ের করা একই মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন। হাইকোর্ট হাজী সেলিমের উপর আরোপিত জরিমানা অর্ধেক কমিয়ে দশ লাখ টাকা করে দিয়েছে। জরিমানা আদায় করতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও এক বছর কারাগারে কাটাতে হবে।
তাকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম বলেছেন, ফৌজদারি মামলায় দুই বছরের বেশি সাজা প্রাপ্ত একজন সংসদ সদস্য তার আসন হারান। জাতীয় সংসদের স্পিকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবেন। তিনি বলেন, “আমরা রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।”
২০০৭ সালে দুদক সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৮ ঢাকার একটি আদালত তাকে ১৩ বছরের জেল এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে। হাজী মোহাম্মাদ সেলিম রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন। ২০১১ সালে আদালত তার সাজা প্রত্যাহার করলেও দুদক পরে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে আবেদনটি পুনরায় শুনানি করতে বলে।
পুত্র ইরফান সেলিম গত বছর নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে, ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মাদ সেলিমের অনিয়মের বিষয়টি আবারো আলোচনায় আসে।#