দা সান নেভার সেটস ইন ব্রিটিশ এম্পায়ার”। সারা পৃথিবী জুড়ে একসময় যখন ইংরেজদের শাসন চলছে, তখন নিজেদের পৃথিবী জোড়া উপনিবেশ নিয়ে গর্ব করে এমন কথাই প্রচলিত ছিল ব্রিটেনে। আজ সেই রাজত্ব নেই। কিন্তু রাজপরিবারের প্রতি সম্মান অটুট রয়েছে ব্রিটেনে।পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে ক’দিনের মধ্যেই দেশের মানুষকে ফাইজার ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ব্রিটেন। এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মত দেশকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে তারা।
অতিমারী ব্রিটেনে ৬০০০০ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজেও আক্রান্ত হয়েছিলেন ভাইরাসে। তার ওপর ব্রেক্সিট নিয়েও আলোচনা চলছে। একদিন আগেই মিডিয়ায় বহু চর্চিত হয়েছিল তাদের ক্রিসমাস ট্রি। ৩০ ফুট দীর্ঘ এই ক্রিসমাস ট্রি আলো দিয়ে সাজিয়েছেন কেট। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলো চর্চায় নেমেছিল কোনটা বেশি দীর্ঘ? ব্রিটেনে দু’তলা বাড়ি নাকি ডিউক এবং ডাচেস – এর ক্রিসমাস ট্রি? এর মধ্যেই কেনসিংটন প্যালেসের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হল রবিবার থেকে বিশেষ রয়েল ট্রেনে গোটা ব্রিটেন ঘুরে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী এবং শিক্ষকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন প্রিন্স উইলিয়াম এবং তার স্ত্রী কেট মিডলটন। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে যারা সামনে থেকে এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন তাদের ডিউক এবং ডাচেস অফ কেমব্রিজের পক্ষ থেকে বিশেষ শংসাপত্র দেওয়া হবে। ডিউক এবং ডাচেসের এই মহৎ উদ্যোগ দেশের কঠিন সময়ে সমগ্র ব্রিটেনবাসীর কাছে একটা দারুণ বার্তা পৌঁছে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস মিলিয়ে মোট ১২৫০ মাইল সফর করবেন রাজপরিবারের এই দুই সদস্য। দুজনেই জানিয়েছেন বড়দিন আসার আগে ভ্যাকসিন এসে যাওয়ায় ব্রিটেন ছাড়াও সারা বিশ্বের মানুষ স্বস্তি পাবেন।
অতীতেও বহু মানবিক কাজে এগিয়ে এসেছেন দুজনে। আফ্রিকায় শিশুদের খাবার পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুল তৈরির ফান্ডিং করেছেন উইলিয়াম এবং কেট। করোনা পরিস্থিতি আবার প্রমাণ করেছে বিপদের সময় ব্রিটেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে জানে। যে বিশেষ ট্রেনে দীর্ঘপথ পাড়ি দেবেন উইলিয়ামরা তা প্রথম ১৮৪২ সালে ব্যবহার করেছিলেন রানী ভিক্টোরিয়া।
নিজেদের জীবন বিপন্ন করে যারা সামনে থেকে এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন তাদের ডিউক এবং ডাচেস অফ কেমব্রিজের পক্ষ থেকে বিশেষ শংসাপত্র দেওয়া হবে।#