সৌদিকে লক্ষ্য করে হুথির ড্রোন হামলার নিন্দা করেছে বাংলাদেশ।রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হুথি বিদ্রোহীরা সৌদিকে লক্ষ্য করে তথা সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আবাকে লক্ষ্য করে যে ড্রোন হামলা চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ এই ধরনের হামলা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে এবং এই ধরনের আগ্রাসনের মুখে সৌদি আরবের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণভাবে সংহতির পুনর্বক্ত করছে।” ঢাকা সৌদি আরবের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি যে কোনও হুমকির বিরুদ্ধে। ঢাকা এই অঞ্চলে তাদের প্রয়াসে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সৌদি আরবের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “হুথির বিদ্রোহীদের দ্বারা গৃহিত এই ধরনের পদক্ষেপগুলো এ অঞ্চলে শান্তি ও সুরক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।” ১০ ই ফেব্রুয়ারীতে হুথিদের মাধ্যমে হওয়া প্রথম হামলাটি পার্ক করা বাণিজ্যিক বিমানে আঘাত হানায় তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর দ্বিতীয়বারের মতো, ১৭ ফেব্রুয়ারি হুথিদের করা হামলা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে যৌথ জোট বাহিনী সেটা আকাশেই ধ্বংস করে দেয় বলে সৌদি আরব দাবী করে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সৌদি আরব এতদিন ধরে তার অনুগত ইয়েমেনের পলাতক সাবেক প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদীকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য ইয়েমেনের নিরীহ জনগণের উপর ব্যাপকভাবে হামলা চালিয়ে আসছে। সৌদির এই একচেটিয়া হামলার কারণে ইয়েমেনের অবকাঠামো প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে প্রায় ২০ হাজারে মত নিরীহ নাগরিক, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ হলো শিশু। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে স্কুল হামলা থেকে বাদ যায়নি কোন কিছুই। আর এই হামলা চলে আসছে পশ্চিমা বিশ্বের অস্ত্র বানিজ্যের হাত ধরে। সৌদি আরব এতদিন ধরে হামলা চালিয়েও তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। আর অপর দিক থেকে এই দরিদ্রতার মধ্য দিয়েও ইয়েমেন সৌদির অভ্যন্তরে হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছে। যার কারণে বিশেষজ্ঞদের অভিমত হামলার মাধ্যমে ইয়েমেন সমস্যার সমাধান কখনোই সম্ভব নয়। কূটনৈতিক পন্থাই হলো এ সমস্যার একমাত্র সমাধান।#