গত সোমবার সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং অং সান সু চি ও দেশের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তকে আটক করে সামরিক বাহিনী। এছাড়াও সু চির দলের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়।
গৃহবন্দি থাকাকালীন মায়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে তার নিজ দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এর প্রেস কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। বুধবার অং সান সু চি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং মামলার পরে তাদের উভয়কেই ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এদিকে খবর পাওয়া গেছে যে, শুক্রবার সু চির আরেক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
প্রেস কর্মকর্তা কি তোয়ে তার ফেসবুক পেইজে জানিয়েছেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। আমি যতদূর জানি তিনি গৃহবন্দি আছেন।’ অবশ্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সু চির অবস্থা সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
অন্যদিকে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জোরদার হচ্ছে। এদিন ইয়াঙ্গুনের দাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উইন উইন মাও বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে আমরা এই সামরিক অভ্যুত্থান মেনে নিতে পারি না। শিক্ষকদের পাশাপাশি রাজধানী নেপিডোয় বিক্ষোভ করেছেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে সামরিক জান্তা সরকারের জোরপূর্বক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া এবং অং সান সু চি ও দেশের প্রেসিডেন্টকে আটক করার প্রতিবাদে মায়ানমারের বাইরে অন্যদেশেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অং সান সু চিকে আটকের প্রতিবাদে জাপানে বিক্ষোভ হয়েছে। টোকিওতে সোমবার ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির সামনে অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে ওই বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মিয়ানমারের একদল অধিকারকর্মী। খবর বিবিসির।
মিয়ানমারে সেনাবাহিনী জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল ও অং সান সু চিসহ বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। জাপানের প্রধান ক্যাবিনেট সেক্রেটারি কাসুনোবু বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হওয়া উচিৎ বলে জাপান মনে করে।
এছাড়াও অং সান সু চিকে আটকের প্রতিবাদে থাইল্যান্ডেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।#