সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞঃ ইরানি রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত রেজা নাফর বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও যথাযথ প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার পরিকল্পনা করা উচিত।
তিনি বলেন যে, তারা এত বেশি শরণার্থী আশ্রয় সংক্রান্ত সমস্যা অনুধাবন করতে পেরেছে। কারণ ইরানে ৯৫১,১৪২ জন আফগান শরণার্থী এবং ২৮,২68 ইরাকি শরণার্থী অবস্থান করায় বিশাল আফগান ও ইরাকি শরণার্থীর আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে রয়েছে।
ইউএনএইচসিআর এর তথ্য অনুসারে, প্রায় ৯৫১,১৪২ আফগানিস্তান এবং ২৮,২৬৮ ইরাকি শরণার্থী ইরানে বসবাস করছে। বাংলাদেশ বলছে যে, তারা কক্সবাজার ও ভাসান চরে ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দান করেছে। ইরানি রাষ্ট্রদূত বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যু আসলে একটি মানবিক বিষয়। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ অনেক ধন্যবাদের দাবিদার। সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞ। ইতিহাস বাংলাদেশের ভূমিকা সবসময় স্মরণ করবে।”
তিনি অবশ্য বলেন যে, রোহিঙ্গা সমস্যা কিছু জটিলতার কারণে অমীমাংসিত রয়ে গেছে যা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।ইরানি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।তিনি বলেন, “আমরা চীন কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগকে সমর্থন করি। আমরা এই ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি সফল ফলাফল দেখার আশা করি।”
রাষ্ট্রদূত রেজা নাফর বলেন যে, “তারা এমন একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্বের উত্থান দেখতে চান যেখানে কোনও শরণার্থী থাকবে না। মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের নাগরিকদের নিজেদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আমরা আশা করি শীঘ্রই তারা সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”
ইরানি রাষ্ট্রদূত বলেন, “রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রথম থেকেই ইরান রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের গৃহিত নীতি সমর্থন করে চলেছে।ইরানের মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, “রোহিঙ্গারা যারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে তারা প্রত্যাবাসন বিষয়ক সকল সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের আইন মেনে চলবে এবং শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবে।আমরা আশা করি তারা শান্তিপূর্ণভাবে বাড়ি ফিরতে সক্ষম হবে।”#