সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে গণতান্ত্রিক ধারায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনও দাবি রাখার দরকার নেই।
নগরীর সংসদীয় চত্বরে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতি বিএনপির দাবি উল্লেখ করে কাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন যে, একবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মন্তব্য করেছিলেন যে, “পাগল ও শিশু ছাড়া কেউই নিরপেক্ষ নয় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটি অবাস্তব নয়।”
কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনগণের রায়কে নির্বাচনের রায় হিসেবে মেনে নেওয়ার সাহস আছে। আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, তাদের দলের উদ্দেশ্যহীন ও ভুল রাজনীতির কারণে বিএনপির কর্মীরা এখন তাদের নেতাদের উপর বিরক্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, “জনগণ বিএনপি’র আন্দোলনের স্টাইল সম্পর্কে অপরিচিত নয়। তারা দ্ব্যর্থহীন বিষয়গুলি নিয়ে সমস্যা তৈরি করার জন্য তাদের নোংরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।”
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল সুরক্ষা আইন করেছে বলে বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন যে, শেখ হাসিনার সরকার জনগণের আস্থা ও ভালবাসার সাথে ক্ষমতায় থাকে এবং কোনও আইনকে পুঁজি করে না। তিনি বলেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও জনগণের ক্ষমতা দেওয়ার কর্তৃত্ব রয়েছে। কাদের বলেন, সরকার জনগণের স্বার্থে যে কোনও আইন গঠনের সূচনা করে। “বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল সুরক্ষার জন্য আইনী কাঠামো রয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছা করা তা বোঝায় না।”
তিনি বলেন, এই আইনটির যে কোনও ধরণের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সরকার ইতোমধ্যে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে। আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসাবে পরিচয় হারিয়েছে এবং গুজব ছড়ানোর একটি দল হয়ে গেছে। বিএনপি এখন সম্পূর্ণ গুজব ও অপপ্রচারের উপর নির্ভরশীল এবং সে কারণেই এটি ডিজিটাল সুরক্ষা আইন এবং আধুনিক প্রযুক্তিরও বিরোধিতা করছে।#