শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূণরায় চালু করতে বিলম্ব হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে করোনভাইরাস সংক্রমণের হারের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দিন বন্ধ রাখতে বাধ্য হতে পারে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডঃ দিপু মনি শুক্রবার বলেন, “যদি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে, তবে সরকার পর্যবেক্ষণ করে আমাদের এবং জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সাথে আলোচনার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূণরায় খোলার তারিখটি পরিবর্তন করার বিষয় পুনর্বিবেচনা করবে।”
গত তিনদিন ধরে বাংলাদেশে প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি নতুন কোভিড -১৯ কেস রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ১০৬৬ টি নতুন কেস এবং ১৩ টি আরও করোনভাইরাসজনিত মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মৃত্যুর হার ১.৩৩ শতাংশ। ডাউনট্রেন্ডের এক মাস পরে প্রতিদিনের সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের ওপরে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার ৫.৮২ থেকে একলাফে শতকরা ৬.৬২-এ উঠে গেছে।
দিপু মনি বলেন যে, সম্ভবত ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতার কারণে লোকেরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে কিছুটা অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। তিনি প্রত্যেক নাগরিককে স্বাস্থ্য বিধি সঠিকভাবে অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করেন।
গত ৮ ই মার্চ দেশে প্রথম কোভিড -১৯ এর প্রতিবেদন দেওয়ার পরে সরকার গত বছরের ১৭ মার্চ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।পরবর্তীতে এই বন্ধটি বেশ কয়েক দফায় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বছরের মার্চ মাসের শেষের দিক পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়।
সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস ৩০ শে মার্চ থেকে পুনরায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। সাম্প্রতিক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন যে, ২৪ শে মে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস শুরু হবে। আবাসিক হলগুলি ১৭ ই মে পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।
দিপু মনি শুক্রবার বলেন “আমরা শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী এবং অভিভাবকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং সামগ্রিক সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেব।”
তিনি বলেন, সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৫৫৫,২২২ করোনা ভাইরাস কেস এবং ৮,৫১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুসারে এখন পর্যন্ত ৫০৯,১৭২ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।#