শক্ত হাতে অপরাধীদের মোকাবেলা করা হবে: কামাল
শক্ত হাতে অপরাধীদের মোকাবেলা করা হবে: কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্পষ্টতই বলেছেন যে, দেশে আতঙ্ক ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার সাথে জড়িত অপরাধী, অন্যায়কারী, ঝামেলা পোষণকারী এবং ধর্মীয় ধর্মান্ধদেরকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করা হবে।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অনুসরণ করে জঙ্গি ও অন্যান্য অপরাধীদের মোকাবেলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি সজাগ ও সচেতন রয়েছেন।কামাল বলেন, যারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ এবং তাদের দুরাচার শক্তিকে সরিয়ে দিলেও সকল মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” তিনি বলেন।
মন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, একটি গোষ্ঠি দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইসলামিক মিলিটারেট স্টেটের নামে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। তবে বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও সকল ধরণের অপরাধ মোকাবেলায় কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে দেশের শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত বজায় রাখা যায়।”
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও গতিশীল নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত করার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উন্নয়নের মাধ্যমে অগ্রযাত্রা ধরে রাখার কারণে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশে বাস করছেন।
বাসস-এর সাথে আলাপকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি সারা দেশে জঙ্গিদের ঘর এবং তাদের নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দিয়েছে।তিনি বলেন, “জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সজাগ রয়েছে।
মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকার কখনই দেশে কোনও ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেয় না।এ ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে সারাদেশে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি যে, সরকার দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করার জন্য বদ্ধপরিকর বলে আমরা দেশে কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে দেব না।”