লাদাখে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে শিগগিরই চিনের সঙ্গে আলোচনা, আশাবাদী কেন্দ্র খুব তাড়াতাড়ি দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে নতুন আলোচনা হবে। ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশ এলএসি বরাবর বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনীর সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়করণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ চালাবে।
দীর্ঘ সাত মাস হতে চলল। এখনও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। দুই দেশের সেনা এখনও পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। পূর্ব লাদাখে শীত পড়ে গেলেও ভারত চিন সীমান্ত কিন্তু উত্তপ্ত। দু’দিন আগেই সেনাপ্রধান এম এম নারভানে নিজে ফরওয়ার্ড পোস্ট ঘুরে দেখে এসেছেন।
চিনের পাল্টা জবাব দিতে ভারতীয় সেনার প্রস্তুতি নিজের চোখে দেখেছেন সেনাপ্রধান। মিষ্টি এবং কেক খাইয়ে মোটিভেট করেছেন সেনাদের। অন্যদিকে চিন ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্য়ান্ডে নতুন জেনারেল নিযুক্ত করেছে। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
খুব তাড়াতাড়ি দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে নতুন আলোচনা হবে। ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন পয়েন্টে সেনাবাহিনীর সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়করণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ চালাবে। এই আলোচনা একে অপরের অবস্থান বুঝতে সুবিধে হবে বলে ধারণা। ১৮ ডিসেম্বর চিন সীমান্ত বিষয়ক ডাব্লিউ এমসিসির একটি সভা হয়েছিল। উভয়পক্ষ একমত হয়েছে সিনিয়র কম্যান্ডারদের নিয়ে নবম দফার একটি বৈঠক করতে। তাই ভারত মনে করে পরিস্থিতি হাতের বাইরে নয়।
চিন বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নিজেদের দাবি করলেও ভারত নরমে, গরমে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি জটিল হলে তা সামলানোর জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তিন বাহিনী। দুই দেশের লক্ষ্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের করা। গালওয়ানের সংঘর্ষের পর আর রক্তপাত চায় না কেউ। এই মুহূর্তে ভারতের পাশে আমেরিকা, ইজরায়েল ছাড়াও ফ্রান্স রয়েছে। কিন্তু চিন যতদিন না নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করছে, ততদিন নিশ্চয়তা নেই।#