রাষ্ট্রপতির তীব্র নিন্দা প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে হিংসার জন্য, এদিন বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সমস্ত সংসদীয় দলকে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় তাণ্ডবের ঘটনায় তীব্র নিন্দা করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শুক্রবার সংসদে বাজেট অধিবেশনের শুরুতে ভাষণে সেদিনের ঘটনার নিন্দা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় তেরঙ্গার অপমান খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।
ভারতের সংবিধান আমাদের বাকস্বাধীনতার অধিকার দিয়েছে। কিন্তু এই সংবিধানই সবার জন্য সমান আইন-কানুনের কথা বলেছে। সবাইকে আইন মানার শিক্ষা দিয়েছে।
এদিন অধিবেশনের প্রারম্ভিক ভাষণে কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় কাজকর্মের সাফল্যের স্তুতি করেন রাষ্ট্রপতি। বলেন, “জনধন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেশের গরিব মহিলাদের ৩১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে সরকার, ১৪ কোটি গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণ করা হয়েছে বিনামূল্যে,
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় ৮ মাস ৫ কেজি করে মাথাপিছু খাদ্য প্রদান করা হয়েছে।” তিনি এদিন বলেন, “ভারতের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ কর্মসূচি হচ্ছে দেশে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত বিভিন্ন দেশকে ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠিয়ে সাহায্য করেছে।”
কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন কোবিন্দ। বলেন, “নয়া কৃষি আইনের মাধ্যমে কৃষকদের অনেক বেশি ক্ষমতা প্রদান করছে সরকার। পুরনো আইনের চেয়েও বেশি স্বাধিকার পাবেন কৃষকরা।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিদেশি হানা রুখে দিয়েছে ভারত। সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্তে।” তবে এদিন চিনের নাম মুখে নেননি রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ এবং সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
উল্লেখ্য, এদিন অধিবেশনের শুরুতে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সমস্ত সংসদীয় দলকে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হোক, বিতর্ক হোক।
সংসদে যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে সব বিষয়ে আলোচনা হয় তার জন্য সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। প্রসঙ্গত, কৃষক বিক্ষোভ এবং সরকারের দমননীতির প্রতিবাদে এদিন রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করে ১৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দল।#