যুক্তরাজ্যের ১০-১৫ কোম্পানি এখানে ৩-৪ বছরের মধ্যে বিনিয়োগ করবে: ডিকসন
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বুধবার বলেছেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা হিসাবে বিবেচনা করে আগামী তিন থেকে চার বছরে কমপক্ষে দশ থেকে যুক্তরাজ্যের ১৫ টি কোম্পানি এখানে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করবে।
তিনি বলেন, “কোভিড -১৯ মহামারীর সময় দেশটি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয় এবং আমি বিশ্বাস করি যে, মহামারীটি শেষ হওয়ার পরেও দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যেতে থাকবে।”
বাণিজ্য কমিশনে মঙ্গলবার ইউকে-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংলাপের ফলাফল নিয়ে মঙ্গলবার রাজধানীতে অবস্থিত তার বাসভবনে একদল সাংবাদিককে ব্রিফ করেন হাই কমিশনার। সেখানে মি. ডিকসন যুক্তরাজ্যের পক্ষে এবং বাণিজ্যসচিব মোঃ জাফর উদ্দিন বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দান করেন।
মি. ডিকসন বলেন, ব্রিটিশ কোম্পানিগুলি বাংলাদেশের অবিচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানব সম্পদের প্রাপ্যতা এবং যুবকদের উদ্যোক্তার মনোভাব বিবেচনা করে দেশের আর্থিক, তথ্যপ্রযুক্তি ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি তরুণদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষার জন্য কমপক্ষে নয়টি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় এখানে ক্যাম্পাস স্থাপনের দৌড়ে রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, “তারা বাংলাদেশী যুবকদের বিশ্বমানের শিক্ষার ব্যবস্থা করবে যা তাদেরকে (যুবকদের) বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দেবে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির মতো ব্রিটিশ বাজারেও বাংলাদেশী পণ্যগুলি জিএসপি সুবিধা উপভোগ করতে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই শুল্ক ফ্রি অ্যাক্সেসের সুবিধা ২০২৭ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত কাউন্টি (এলডিসি) পদ থেকে স্নাতক হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালে। রাষ্ট্রদূত বলেন, তবে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ এফডিআই বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের ১৬৮ তম অবস্থান একটি চ্যালেঞ্জ।
বৃটিশ রাষ্ট্রদূতের পর্যবেক্ষণ এই যে, চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য দীর্ঘমেয়াদী এবং শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে। বাংলাদেশের বাজারে ব্রিটিশ বিনিয়োগ এবং দক্ষতা সর্বাধিক উন্মুক্ত হবে এই প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
তিনি বলেন, উভয় দেশ কার্যনির্বাহী স্তরের বৈঠক করবে এবং বছরের শেষের দিকে অগ্রগতির যথাযথ মূল্যায়ন করবে।#