মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন ‘ভেকধারী সরকারের ফেকধারী বাজেট’ ‘তোমরা আবার কী করবে? আমরা তো করে দিয়েছি। সবটাই রেডি আছে। নতুন করে কলকাতা শিলিগুড়ি কী করবে? বাঙালকে হামাগুড়ি শেখাচ্ছো?’
সোমবার কেন্দ্রীয় বাজেটের সমালোচনায় সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘অপেক্ষা করুন আবার দাম বাড়বে। তিনি বলেন, জ্বালানিতে সেস বসিয়েছে।
সেস আপনাদের শেষ করে দেবে। নীলকরের মতো, জিজিয়া করের মতো সেসের টাকা তুলে নিয়ে চলে যায় কেন্দ্র।’
তিনি এই বাজেটকে কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘ভেকধারী সরকারের ফেকধারী বাজেট।’ তিনি আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে বলেন, ‘দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। আর এদিকে দেশপ্রেমের কথা বলছে। কোনওদিন সব বেছে দিয়ে দেশ ছেড়ে পালাবে কে জানে!’ তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের কারও চাকরি সুরক্ষিত নয়। কারণ সব বিক্রি করে দিচ্ছে। রেল, সেল, বিএসএনএল, কোল সব বিক্রি।’
বাজেটে এ রাজ্যে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। যাকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘তোমরা আবার কী করবে? আমরা তো করে দিয়েছি। সবটাই রেডি আছে। নতুন করে কলকাতা শিলিগুড়ি কী করবে? বাঙালকে হামাগুড়ি শেখাচ্ছো?’
এরপরই মমতা বলেন, ‘কোচবিহারে আমরা এয়ারপোর্ট কানেকটিভিটি করে দিয়েছি। মালদায় করে দিয়েছি, বালুরঘাটে করে দিয়েছি। আমি আসামকে ভালবাসি। তোমরা আসামে প্লেন চালাতে পারলে কোচবিহারে কেন চালাও না? পাঁশকুড়া থেকে বর্ধমান হয়ে আরও একটা পথে দক্ষিণ বঙ্গ – উত্তরবঙ্গকে জোড়া হচ্ছে।’
এদিন বাজেট প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ বিমানে তৃণমূলত্যাগী নেতাদের দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সমালোচনায় এদিন সরব হয়েছিলেন। তিনি নাম না করে বলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের দেওয়া বেলায় নেই। আর যারা কোটি কোটি টাকা চুরি করেছে, তাঁদের বিশেষ বিমানে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কত সুন্দর!’ কৃষক-বিরোধী, জনতা-বিরোধী এই বাজেট। আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
জনগণের ঘাড়ে চাপে দিয়ে ঋণখেলাপিদের টাকা মকুব করছে কেন্দ্র। এদিন সরব হয়েছিলেন তিনি। তাঁর আরও মন্তব্য, ‘কৃষক, শ্রমিক, জনগণের টাকা মকুব করে দেওয়া হচ্ছে।’ খালি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর ভাষণ, এটাই ওদের কাজ। এদিন সরব হয়েছিলেন মমতা।#