মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংসতা অগ্রাহ্য বিক্ষোভকারীদের। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে অভ্যুত্থানবিরোধী সমাবেশ আরও জোরদার করেছেন বিক্ষোভকারীরা । জাতিসংঘের বিশেষ দূত মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের জরুরি সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রতি জরুরি পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান যে, এই সপ্তাহে সেনাবাহিনীর নৃশংস হামলায় প্রায় ৫০ জন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী মৃত্যু বরণ করেছেন এবং অনেক সংখ্যক বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। সহিংসতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ব সম্প্রদায় সামরিক জান্তা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ২ ফেব্রুয়ারি জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে।
বিভিন্ন শহরে দিনদিন সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বিশাল আকার ধারণ করতে দেখা যাচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দমনে মারাত্মক শক্তি প্রয়োগ এবং গণ গ্রেপ্তারের পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বাড়িয়ে তোলে। মার্কিন মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, রবিবার ১৮ জন এবং বুধবার কমপক্ষে ৩৮ জন বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এক হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। ইয়াঙ্গুন ও মান্ডাল এবং অন্যান্য বৃহত্তম শহরগুলোতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ তাদের উপর আবারও চড়াও হয় এবং গুলিবর্ষণের আওয়াজ শোনা যায়। ২৬ বছর বয়সী জাও মিয়োকে অন্যান্য বাসিন্দাদের সাথে একদল ইঞ্জিনিয়ারদের সম্মিলিত একটি লংমার্চ রক্ষার চেষ্টা করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শরণার বার্গনার জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে এক ব্রিফিংয়ে বলেন যে, মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির উপর সহিংসতা বন্ধ করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ ও “শক্তিশালী” পদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরী।”
তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই সেনাবাহিনীর পদক্ষেপের নিন্দা জানাতে হবে,” তিনি জাতিসংঘে ব্রিফিংয়ে বলেন, “এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, এই কাউন্সিল নিরাপত্তা বাহিনীকে নোটিশ দেওয়ার জন্য এবং মিয়ানমারের জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সুদৃঢ় ভূমিকা গ্রহন করতে হবে। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলকে সমর্থন করতে হবে। “শ্রেনার বার্গেনার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে “জোর করে দখল করা এই সরকারকে বৈধতা বা স্বীকৃতি প্রদান না করার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর বিশৃঙ্খলা ব্যতীত আর কিছু হয়নি।”