ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক বিশেষ উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। এমনটাই বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জ ও ভারত সফর শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক বিশেষ উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। এতে দুই দেশের সম্পর্কে এক নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে।’’ আগামী বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। মোদী ওই সফরে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে ৩ থেকে ৬ অক্টোবর— চার দিনের সফরে ভারতে গিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সে সফরের অঙ্গ হিসাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে করেন তিনি। এ দিন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা-স্মারক সই হয়েছে। দুই নেতার মধ্যে তিনটি যৌথ প্রকল্প চুক্তি হয়েছে। যার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ দিন গণভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ দিন সাংবাদিকদের শেখ হাসিনা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের শেষে তাঁকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফরে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মোদী।
গণভবনে এক আলোচনায় ফেনী নদীর জল ভারতে দেওয়ার প্রসঙ্গেও আলোকপাত করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, ত্রিপুরার একটি এলাকায় সামান্য জল দেওয়া হয়েছে। ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই নদীতে দুই দেশেরই অধিকার রয়েছে বলে মত শেখ হাসিনার। তিনি বলেন, ‘‘ত্রিপুরার সাবরুম এলাকার মানুষ পানীয় জলের জন্য ভূগর্ভস্থ জল তোলেন। সীমান্তবর্তী হওয়ায় এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে। তাই সামান্য জল তাঁদের দেওয়া হবে।’’
ভারতের রাজ্য ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কথাও এ দিন মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘ত্রিপুরা যদি কিছু দিতে চায় তা হলে কিছু দিতে হবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দ্বারা নির্যাতিত হয়ে অনেকে ত্রিপুরায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন ত্রিপুরাবাসী। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটা ঘাঁটি ছিল ত্রিপুরা। বাংলাদেশের জন্য বিরাট একটা শক্তি ছিল ত্রিপুরা। তাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক আমাদের সব সময় আছে এবং সেটা থাকবে।’’ হাসিনা আরও বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় পানীয় জলের জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। যে জল দেওয়া হচ্ছে তা অত্যন্ত নগণ্য।’’#