ভারতের লালকেল্লা মামলায় জড়িত পাঞ্জাবের পাঁচ জন অপরাধী, সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত, লালকেল্লায় তাণ্ডবের ঘটনা নড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে।
প্রজাতন্ত্র দিবসে জীতায় ঐতিহ্যে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগের তির কৃষকদের বিরুদ্ধে উঠছে। তবে, কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন দমাতে পাল্টা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের দাবি করেছে কৃষকরা। এই বিতর্কের মধ্যেই লালকেল্লায় ভাঙুচুরের ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের মধ্যে এমন পাঁচজনকে চিহ্নিত করা হয়ছে যাদের নাম আগেই পুলিশের খাতায় রয়েছে। নানা অপরাধে একাধিকবার গ্রেফতারও করা হয় তাদের।
ওই দিনের ঘটনার সিসিটিভই ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই পাঁচ-ছয়’জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, পাঞ্জাব পুলিশ এই এই পাঁচ-ছয়’জনকে চিহ্নিত করেছে। এদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা সহ নানান অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকজনকে এর আগে গ্রেফতারও করা হয়। আপাতত এই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
অন্যদিকে, বেশ কয়েকজন হামলাকারী দিল্লির বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তেও সেকথা উঠে এসেছে। তাদের গ্রেফতারের আগে প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে বলে সূত্র মারফত পাওয়া গিয়েছে।
দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনিল মিত্তল জানিয়েছেন, লালকেল্লা ও কৃষকদের ট্রাক্টর ব়্যালি ঘিরে তাণ্ডবের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ৮৪ জন।
প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর ব়্যালির শুরুতেই নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে কৃষকদের বিরুদ্ধে। নির্ধারিত রুট বদলে কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে মধ্য দিল্লির দিকে এগোতে থাকে। পুলিশ বাধা দিলেও কাজ হয়নি। ব্যারিকেড ভেঙে ট্রাক্টর নিয়ে নিজেদের মতো করে এগোতে থাকে প্রতিবাদীরা। পুলিশ-কৃষক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একসময় কৃষকরা লালকল্লায় পৌঁছে যায়। সেখানে ওড়ানো হয় প্রতিবাদী সংগঠনের পতাকা। তাণ্ডবের পাশাপাশি চলে ভাঙচুর। পুলিশের দাবি, ওই দিন লালকেল্লা চত্বরে প্রায় হাজার জন বিক্ষোভকারী প্রবেশ করেছিল। প্রায় দেড়শ বাইক ও ৩০-৪০টি ট্রাক্টরে করে কৃষকরা লালকেল্লার দখল নেয়। কৃষকদের তরফে পুলিশকে আক্রম করারও অভিযোগ ওঠে।
শনিবার নমুনা সংগ্রহে লালকেল্লায় যায় ফরেন্সিক দল। যেসব ট্রাক্টরে সেদিন প্রতিবাদীরা লালকেল্লায় পৌঁছেছিল সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। ট্রাক্টরদের মালিকদের সমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এই হামলা পূর্ব পরিকল্পিত ও পোক্ত সমন্বয়ের ভিত্তিতে হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন কৃষক নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে লুকআউট লোটিস জারি করেছে দিল্লি পুলিশ অভিযুক্ত কৃষক নেতাদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের এক সিনিয়ার অফিসার। পুলিশ ১৭০০ সিসিটিভি ক্লিপ, সরকারি সংস্থার ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করেছে। সেগুলো খতিয়ে দেখার জন্য গুজরাটের ফরেন্সিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।#