বিশিষ্ট অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান মারা গেছেন
রুপালি পর্দার বিশিষ্ট অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন বিশিষ্ট এই অভিনেতা রাজধানীর সূত্রাপুরের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার বিকেলে তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার শ্বাসকষ্টের কারণে তাকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ডাঃ আতাউর রহমান খানের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গুনি এই অভিনেতা মৃত্যুর পুর্বে কিছুদিন ধরে অ্যাজমা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার তাঁর সামগ্রিক অবস্থার উন্নতি হয়। তার পরিবারের সদস্যদের মতে, তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট, সিটি স্ক্যান সহ, সন্তোষজন রিপোর্ট আসে, যার কারণে তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেয়া হয়।
আবু তাহের মোহাম্মদ (এটিএম) শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। উদয়ন চৌধুরীর চলচ্চিত্র কর্তৃক নির্মিত ‘বিশ্বকন্যা’ (১৯৬১)চলচিত্রে সহকারী পরিচালক হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল।
তাঁর কিংবদন্তি অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। আমজাদ হোসেনের ছবি ‘নয়নমনি’ (১৯৭৬)-এ খলনায়ক হিসাবে তিনি তার বড় নাম অর্জন করেছিলেন। ঢালিউডে অভিনয় শিল্পি হিসাবে তাঁর সম্মানিত কেরিয়ারে এটিএম শামসুজ্জামান শতাধিক চিত্রনাট্য রচনা করেছিলেন। ২০০৯ সালে ‘এবাদত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।
চলচিত্রে অভিনয় করে সেরা কৌতুক অভিনেতা সহ এই কিংবদন্তি অভিনেতা তার অভিনয় জীবনে ছয়টি জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার লাভ করেন। সেরা কৌতুক এবং খল অভিনেতা হিসেবে কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ (১৯৮৭), ‘ম্যাডাম ফুলি’ (১৯৯৯), ‘চুড়িওয়ালা’ (২০০১), ‘সোম বসে না পড়ার টেবিলে’ (২০০৯), ‘চোরাবালি’ (২০১২) এর সেরা সহ অভিনেতা এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের সেরা কৌতুক অভিনেতার সম্মান অর্জন করেন ২০১৭ সালে।
২০১৫ সালে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক একুশে পদকে ভূষিতও করা হয়।#