বিজেপিকে ‘রাম’ জপের পাঠ পড়ালেন নুসরত জাহান, “গলা টিপে নয়, গলা জড়িয়ে রাম নাম করুন”, বিজেপিকে কড়া ভাষায় ‘রাম’ জপের পাঠ পড়ালেন তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)।
নেতাজির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মঞ্চে বক্তৃতা রাখতে গেলে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি ওঠে। যে বিষয়টিকে মোটেই ভাল নজরে দেখেননি রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। স্বাভাবিকবশতই নজর এড়ায়নি নুসরত জাহানেরও। অতঃপর দলনেত্রীকে অপমানের মোক্ষম জবাব দিয়ে বিজেপির রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়ে বিঁধেছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ।
শনিবার দেশনায়কের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালে অনুষ্ঠানের মঞ্চে একসঙ্গে হাজির ছিলেন মোদী-মমতা। যা দেখে নেটজনতার একাংশের মন্তব্য, “বাঘে-কুমীরে এক ঘাটে জল পানের দৃশ্য মনে করিয়ে দিলেন তো!” তবে এই অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে বক্তৃতা রাখতে গেলে তাল কাটে। তাঁকে দেখেই জয় শ্রী রাম ধ্বনি তোলেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের একাংশ। পালটা দিতে ছাড়েননি তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “ডেকে এনে অপমান না করলেই নয়! এটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। এটা সরকারি অনুষ্ঠান। আমি আর একটা কথাও বলব না। তবে কলকাতায় এই অনুষ্ঠান আয়োজন করায় আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। জয় হিন্দ, জয় বাংলা।”
দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এমন অপমানের কড়া জবাব দিতে ভোলেননি নুসরত জাহান। টুইটে সরব তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য, “গলা টিপে নয়, গলা জড়িয়ে রাম নাম করুন। দেশনায়ক নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় স্লোগান তোলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই, করজোড়ে। অত্যন্ত লজ্জার! বাংলাকে বিজেপির হাত থেকে বাঁচান।”
“গলা টিপে নয়, গলা জড়িয়ে রাম নাম করুন”, বিজেপিকে কড়া ভাষায় ‘রাম’ জপের পাঠ পড়ালেন তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। নেতাজির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মঞ্চে বক্তৃতা রাখতে গেলে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি ওঠে। যে বিষয়টিকে মোটেই ভাল নজরে দেখেননি রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। স্বাভাবিকবশতই নজর এড়ায়নি নুসরত জাহানেরও। অতঃপর দলনেত্রীকে অপমানের মোক্ষম জবাব দিয়ে বিজেপির রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়ে বিঁধেছেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ।
শনিবার দেশনায়কের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালে অনুষ্ঠানের মঞ্চে একসঙ্গে হাজির ছিলেন মোদী-মমতা। যা দেখে নেটজনতার একাংশের মন্তব্য, “বাঘে-কুমীরে এক ঘাটে জল পানের দৃশ্য মনে করিয়ে দিলেন তো!” তবে এই অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে বক্তৃতা রাখতে গেলে তাল কাটে। তাঁকে দেখেই জয় শ্রী রাম ধ্বনি তোলেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের একাংশ। পালটা দিতে ছাড়েননি তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “ডেকে এনে অপমান না করলেই নয়! এটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। এটা সরকারি অনুষ্ঠান। আমি আর একটা কথাও বলব না। তবে কলকাতায় এই অনুষ্ঠান আয়োজন করায় আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। জয় হিন্দ, জয় বাংলা।”
দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এমন অপমানের কড়া জবাব দিতে ভোলেননি নুসরত জাহান। টুইটে সরব তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য, “গলা টিপে নয়, গলা জড়িয়ে রাম নাম করুন। দেশনায়ক নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় স্লোগান তোলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই, করজোড়ে। অত্যন্ত লজ্জার! বাংলাকে বিজেপির হাত থেকে বাঁচান।”
এখানেই শেষ নয়। বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্যকেও ইতিহাসের পাঠ পড়িয়েছেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভূমিকা নিয়ে মোদী যখন বক্তৃতা দিচ্ছেন, তখন বিজেপিকে তার অতীত ‘স্মরণ’ করিয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজেপির ‘মতাদর্শগত গুরু’দের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও তুললেন।
ঘটনার সূত্রপাত মমতার একটি প্রস্তাব নিয়ে। শুধুমাত্র দিল্লিতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না করে রেখে, দেশের চার প্রান্তে চারটি রাজধানীর গড়ার দাবি তোলেন তিনি। এরপরই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণে নেমে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। বাদ যাননি অমিত মালব্যও। টুইটারে ‘পিসি’ বলে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “দেশে ৪টি রাজধানী গড়ে তোলার যে প্রস্তাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, তার ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল। এই প্রস্তাব ভারতের ঔপনিবেশিক অতীতকেই মনে করিয়ে দেয়। কারণ সেই সময় নিজেদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা অনুযায়ী আলাদা আলাদা গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন রাজধানী রেখে আমাদের শোষণ করত ইংরেজরা। কাদের শোষণ করতে চাইছেন পিসি? পশ্চিমবঙ্গ তো এমনিতেই কম ভুগছে না’!”
সেই প্রেক্ষিতেই মালব্যকে ‘কাকু’ সম্বোধন করে নুসরতের কড়া জবাব, “হ্যাঁ কাকু, সেই ঔপনিবেশিক অতীত, যখন আপনার এবং বিজেপির আদর্শগুরু হেগড়েওয়ার, গোলওয়ালকর এবং সাভারকর ইংরেজদের পক্ষ নিয়েছিলেন এবং দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিতে অস্বীকার করেছিলেন!”#