বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বুধবার বলেছে যে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবি করছে, কারণ এটি ১৯৯৬ সালে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর দাবি ছিল। ‘এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার জামায়াতে ইসলামী ও আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। আর আজকের প্রধানমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, তিনি আজীবন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান। ঢাকার কমলাপুরে দলের শেষ চার রোডমার্চ কর্মসূচির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে মুগদা থেকে রোডমার্চ শুরু হয়ে মালিবাগ কাঁচাবাজার এলাকায় যায়। বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে রোডমার্চে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন। প্ল্যাকার্ডে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমানো, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবি ছিল। বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচির কারণে কমলাপুর ও মুগদা-খিলগাঁও সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছি। আর তারা (সরকার) বলছে আমরা সংবিধানের বাইরে যেতে পারি না। মূলত জামায়াতে ইসলামী এবং আওয়ামী লীগ আমাদের সময়ে তত্ত্বাবধায়কের দাবি উত্থাপন করেছিল। আবাস বলেন, বিএনপির মিছিল বর্তমান সরকারের ‘শবযাত্রা’। তিনি বলেন, জনগণ বুঝতে পেরেছে যে সরকার জনগণকে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর মতো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যেখানে চালের দাম এখন কেজিপ্রতি ৮০ টাকায় উন্নীত হয়েছে। আজ সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে একজন ভোটারও ভোট দেননি।
আব্বাস বলেন, একটি কেন্দ্রে তিন থেকে চারটি কুকুর ঘুমোচ্ছে, আল্লাহ্ রক্ষা করেছে যে কুকুরের ভোটের অধিকার নেই। তিনি বলেন, কোনো ভোটার কেন্দ্রে যাচ্ছে না। পুলিশ মাইক্রোফোন দিয়ে ভোটারদের ডাকছে। আমি আমার জীবনে এমন হাস্যকর দৃশ্য দেখিনি।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার কোনো ধরনের পূর্ব আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। মনে হয় এ যেন কারো রাজত্ব। তিনি বলেন, ‘রাজা তার ইচ্ছামতো দেশ চালাবেন। উল্লেখ্য, গত ২৬ই জানুয়ারি ২৮, ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। বিএনপির মিছিল বর্তমান সরকারের ‘শবযাত্রা’: মির্জা আব্বাস#