Monday, December 4, 2023

বিআইডিএফ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের বৃহত্তর উন্নয়নের লক্ষ্যের বিষয়টিকে মাথায় রেখে সোমবার বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের (বিআইডিএফ) কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের বৃহত্তর উন্নয়নের লক্ষ্যের বিষয়টিকে মাথায় রেখে সোমবার বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের (বিআইডিএফ) কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই উদ্বোধন কর্মসূচি পালন করেন। প্রাথমিকভাবে, বন্দর ও বিদ্যুৎ খাতে বিআইডিএফ থেকে বিনিয়োগ করা হবে। এই তহবিল থেকে বার্ষিক বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমান নির্ধারণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে নিজের পায়ে এগিয়ে যেতে হবে এবং নিজস্ব তহবিল দিয়ে তার উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

তিনি বলেন, “সুতরাং, ছয় মাসের জন্য অর্থ একপাশে রেখে আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে কীভাবে আমরা বাকী অংশটি বিনিয়োগ করতে পারি। এই চিন্তাভাবনা থেকে, আমরা এই তহবিলের পরিকল্পনা করেছি। যেখানে দেশী এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীরা লোন নিতে পারবেন।”

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার বিআইডিএফ সম্পর্কে পাওয়ার-পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। প্রোগ্রামে পাইরা বন্দরের একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন,”আমরা অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়েছি – মধ্যমেয়াদী, দীর্ঘমেয়াদী এবং দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহন করেছি, যা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান পেতে সহায়তা করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির মূল পরিকল্পনা হ’ল তৃণমূল পর্যায়ে অর্থায়ন করা। যাতে গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত লোকেরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন।

উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আসন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবেলায় সাহসিকতার সাথে লড়াই করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন যে মঙ্লা বন্দরের বর্ধিত কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের  সক্ষমতা বাড়াতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, পায়রা বন্দরের কার্যক্রম সীমিত আকারে শুরু হয়েছে এবং মাতারবাড়িতে আরও একটি বন্দর নির্মিত হবে।

তিনি বলেন, “এই সমস্ত বন্দর দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” কোভিড -১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের উপস্থিতি ইতিমধ্যে কিছুটা হলেও রয়েছে।

তিনি সকলকে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বজায় রাখতে বলেছেন, যদিও টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, “আমি আপনাদের সকলকে ভ্যাকসিনের ডোজ গ্রহন করার পরেও স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করছি।”#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article