ওয়াশিংটন: তার পূর্বসূরী মাস্ক ব্যবহারে বিশ্বাস করতেন না। এমনকি করোনা ভাইরাস নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন যাতে সারাবিশ্বে নিজেকে হাসির পাত্র করে তুলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু জো বাইডেন অনেক বেশি বাস্তববাদী। এখনও হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেননি। কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর সরকার কিভাবে এই অতিমারির মোকাবিলার কথা ভেবে রেখেছে। টাস্ক ফোর্স তৈরি করার ঘোষণা আগেই করেছিলেন।
এবার বাইডেন জানিয়ে দিলেন বেশি নয়, তিনি দেশবাসীর কাছে মাত্র ১০০ দিন সময় চাইছেন। এই সময়ের মধ্যে দেশবাসী মাস্ক ব্যবহার করুন। দেশের সব সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন এই নিয়ম পালন করবে, ঠিক তেমনই বিমান, রেল এবং গাড়ি পরিবহণ সংস্থাগুলোকেও এই নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক করবেন তিনি।
পাশাপাশি বিভিন্ন ভ্যাকসিন নিজেদের ট্রায়ালের প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করতে হলে সবুজ সংকেত দরকার বাইডেন প্রশাসনের চিফ মেডিকেল অ্যাডভাইজার ডক্টর অ্যান্টনি ফাউসার ওপর। আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট মনে করেন সাধারণ মানুষের একটু সহযোগিতা পেলে সরকারের পক্ষে কাজ করা সহজ হয়ে যায়। এমনিতেই সারা বিশ্বের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি জীবনহানি হয়েছে।
জাপানের পার্ল হারবার আক্রমণে বা দ্বিতীয় বিশ্ব মহাযুদ্ধে যত মার্কিনীর প্রাণ গিয়েছিল, করোনা সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাইডেন মনে করেন মানুষের বিশ্বাস ফিরে পেতে গেলে প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্টকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তাই তিনি এবং কমলা হ্যারিস যেমন মাস্ক ব্যবহার করবেন, তেমনই ভ্যাকসিন এলে জনগণের সামনে তারা তা গ্রহণ করবেন।
তবে শুধু বাইডেন নন, টিকা গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জর্জ ডব্লু বুশ, বিল ক্লিনটন এবং বারাক ওবামার মত প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্টরা। ফাইজার এবং মর্ডানা, ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে তাদের ভ্যাকসিন সরবরাহ করার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে। ব্রিটেন এই একটা ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাই বাইডেন প্রশাসনের কাছে এটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ।#