বাংলাদেশ ‘ভারত-মায়ানমার-থাইল্যান্ড’ বেল্টে যু্ক্ত হতে চায়:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কৌশলগত স্বার্থ বিবেচনা করে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিস্তৃত করার জন্য এবং আঞ্চলিক যোগাযোগ কার্যকরভাবে রক্ষা করার লক্ষ্যে ভারত, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের সাথে একটি রোড বেল্টে যোগ দিতে চায় বাংলাদেশ। ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সময় এ আগ্রহ ব্যক্ত করা হয়।বাংলাদেশও ভুটান ও নেপাল হয়ে তাদের পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর ব্যবহার দেখতে চায় এবং এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভারতের প্রতিমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের সময় এই প্রস্তাবগুলি উত্থাপন করেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ একে আবদুল মোমেন ভারচুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে শীর্ষ সম্মেলনের ব্যাপারে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন,
“ভারত, মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডের সমন্বিত একটি রোড বেল্ট নির্মাণাধীন রয়েছে। ভারত এর আগে এই বেল্টে যোগ দিতে আমাদেরকে প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু সেই সময়ে খালেদা জিয়ার সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে।” তিনি বলেন, “তত্কালীন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা ভারতীয় প্রস্তাবের সংক্ষিপ্তসার নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও খালেদা জিয়া একতরফাভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
রাস্তাটি নির্মিত হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে। আমাদের কৌশলগত স্বার্থ বিবেচনায় আমাদের রোড বেল্টে জড়িত হওয়া দরকার, “ডাঃ মোমেন বলেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশ পক্ষ ভারতকে এই উদ্যোগে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেছে এবং ভারত বলেছে যে, তারা বাকী দুটি দেশের সাথে এই বিষয়ে পরামর্শ করবে।
বাংলাদেশ ও ভারত বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল) অঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের জন্য সহযোগিতার উপায়গুলি নিয়ে আলোচনা করেছে। নতুন ভারতীয় ক্রস বর্ডার এনার্জি গাইডলাইন সহজতর হওয়া, আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি বাণিজ্যে সহযোগিতা। ভুটান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিবিআইএন প্রক্রিয়াতে যোগ দিতে পারেনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, “আমরা দেখতে চাই আমাদের পণ্য বোঝাই ট্রাক ভুটান এবং নেপালে প্রবেশ করছে। আমরা আরও সংযোগ চাই। ভারত বাংলাদেশের অনুরোধের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় বিমান আবারো চালু করার জন্য ভারত প্রশংসারযোগ্য। তবে রেল ও সড়ক যোগাযোগ পূণরায় চালু করার জন্য ভারতকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যাতে জনগণ আরও বেশি পরিমাণে ভারতে যাতায়াত শুরু করতে পারে।#