পয়লা মার্চই গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ‘পিসি-ভাইপোর রাজনীতিই দায়ী নেতাদের দলবদলের জন্য’, ‘বিস্ফোরক’ শ্রাবন্তী।
পয়লা মার্চই গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। গেরুয়া পতাকা হাতে তুলেই সোনার বাংলা গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন টলি-নায়িকা। তবে রাজনীতির ময়দানে অভিষেক ঘটামাত্রই কিন্তু রাজ্যের শাসক দলের প্রতি আক্রমণ হেনেছেন তিনি।
এমনকী, যে অভিনেত্রীকে কিনা একদা একুশের মঞ্চে দেখা যেত, সেই তিনিই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করতে পিছপা হলেন না পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পর! বিজেপির পিসি-ভাইপো তকমাকে হাতিয়ার করেই বিঁধলেন বিরোধী শিবিরকে। সাফ বললেন, “পিসি-ভাইপোর রাজনীতির জন্যই সবাই দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ভোটের বাজারে রাজনীতি এবং গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রি মিলেমিশে একাকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পদ্ম কিংবা ঘাসফুল শিবির, দুই দলের তরফেই ‘স্টার-স্ট্র্যাটেজি’ তুঙ্গে!
শ্রাবন্তী বিজেপিতে যোগদানের পর অনেকেই তৃণমূলের ‘স্টার’ প্রার্থীদের সঙ্গে তাঁর তুলনা টানা শুরু করেছেন। বলছেন, ঘাসফুল শিবিরের বাঘা-তারকা যদি জুন-সায়নী কিংবা কৌশানীরা হন, তাহলে পদ্ম শিবিরের ‘স্টার’ শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ কলকাতার এক বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির (BJP) তরফে টিকিটও পেতে পারেন তিনি। সূত্রের খবর, গড়িয়া থেকেই সম্ভবত বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন।
কারণ, বাংলায় শ্রাবন্তীর অনুরাগীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর সেই ‘সংখ্যা-ত্বত্ত্ব’ ভোটবাক্সেও প্রভাব ফেলতে পারে। কাজেই টিকিট পাওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2021) আগে ‘দলবদলু’দের যেভাবে কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতে তৃণমূল থেকে পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়া নেতা-মন্ত্রীদের সমর্থনে সরব হয়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
শ্রাবন্তীর কথায়, মোদীজিকে তাঁর ভাল লাগে এবং তাঁকে অনুসরণ করেই পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাই ভোটের বাজারে দলের হয়ে গলা ফাটাতে তৃণমূল (TMC) শিবিরকে যে কটাক্ষ করবেন, সেটাই স্বাভাবিক।
সম্প্রতি একটি টুইটে অভিনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। তাঁর কথায়, “বেশিরভাগ নেতা, মন্ত্রী ও সমর্থকরা তৃণমূল থেকে বেরিয়ে আসছে পিসি ও ভাইপোর রাজনীতির জন্যই। এঁরা দু’জন নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সব সময়ই বল প্রয়োগ করে থাকে।#