খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে বলেন, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে ৩৮১.৪৫ টন চাল ও গমসহ মোট ৩৯২ দশমিক ৩১ টন খাদ্যদ্রব্য উৎপাদিত হয়েছে। মোট ধান উৎপাদনের মধ্যে বোরো উৎপাদন হয়েছে ২০১.৮৬ টন, আউশ ৩০.০১ টন এবং আমন ১৪৯.৫৮ টন।
মন্ত্রী বলেন, বিবিএস কর্তৃক পরিচালিত গৃহস্থালি আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী, মানুষের দৈনিক খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ৩৫১.৮ গ্রাম (চাল ৩২৮.৯ গ্রাম এবং গম ২২.৯ গ্রাম)। সে অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬৯.৮২ মিলিয়ন হলে মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন ২১৭.৫৮ লাখ টন (চাল ২০৩.৯৪ লাখ টন এবং গম ১৩.৬৪ লাখ টন)। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২ শতাংশ বিবেচনায়, ২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারি দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৭১.৯০ মিলিয়ন (আনুমানিক)। এ বিবেচনায় দেশে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা হবে ২২০ দশমিক ৭৩ লাখ টন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনের আগের প্যাটার্ন বজায় থাকলে দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই, [সূত্র: ২০২২ সালের আদমশুমারি বিবিএস]। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২০২৩ সালের ৪ জুন পর্যন্ত সরকার ৬.৩৪ লাখ টন চাল এবং ৬.৮০ লাখ টন গম আমদানি করেছে, অর্থাৎ ১৩.১৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪.২২ লাখ টন চাল ও ২৭.২৪ লাখ টন গম অর্থাৎ মোট ৩১.৪৬ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে (৪ জুন ২০২৩ পর্যন্ত) সরকারি খাদ্যশস্যের মজুদ রয়েছে ১৭.৪৪ লাখ টন (১৩.৮৩ লাখ টন চাল ও ৩.৬১ লাখ টন গম)। দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই: খাদ্যমন্ত্রী#
