দুর্নীতির দুটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জেল থেকে শর্তসাপেক্ষ মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মাহমুদ শহীদুজ্জামান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
গত ৮ ই মার্চ আইন মন্ত্রণালয় দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানোর সুপারিশ করে। এর আগে, খালেদা জিয়ার শাস্তি মওকুফ এবং তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য একটি আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “আমরা ছয় মাসের জন্য এই সাজা স্থগিতের প্রস্তাব দিয়েছি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন এখন দেশের যে কোনও জায়গায় বিশেষায়িত চিকিৎসা নিতে পারবেন।”
তিনি বলেন, ” খালেদা জিয়াকে দেশের অভ্যন্তরেই চিকিত্সা নিতে হবে এবং চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।অর্থাৎ আগের দুইবারের ন্যায় শর্ত অনুযায়ী এই মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করা হয়।” স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার তার বোনের সাজা স্থগিতের বিষয়ে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন, যার মাধ্যমে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি মওকুফ করারও আহ্বান জানিয়েছিলেন।
একটি ফৌজদারী আদালত তাকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদন্ডের সাজা দেওয়ার পরে ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সালে খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরে হাইকোর্ট তার কারাবাসের মেয়াদ দ্বিগুণ করেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একই বছর আরও একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।তবে তার দল দাবি করেছে যে, দু’টি মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে, সরকার গত বছরের ২৫ শে মার্চ একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে। গত বছরের ২৭শে আগস্ট সরকার তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কারাগার সেল থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং সেদিন থেকে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে অবস্থান করছেন।#