Saturday, December 9, 2023

দুটো ডোজই নেওয়া জরুরি, স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে মানতে হবে: মোদী

দুটো ডোজই নেওয়া জরুরি, স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে মানতে হবে, অপেক্ষার অবসান। দেশে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বের বৃহত্তম গণটিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভ্যাকসিন তৈরি হতে অনেক সময় লাগে।

দুটো ডোজই নেওয়া জরুরি, স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে মানতে হবে, অপেক্ষার অবসান। দেশে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বের বৃহত্তম গণটিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভ্যাকসিন তৈরি হতে অনেক সময় লাগে।

কিন্তু দেশের বৈজ্ঞানিকরা দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করেছেন। ওঁদের প্রশাংসা প্রাপ্য। ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে ভারত সরকার বিনামূল্যে টিকা দেবে। করোনা বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া কর্মীদের আগে টিকা দিয়ে দেশ ঋণ শোধ করবে। দ্বিতীয় দফায় ৩০ কোটি মানুষ টিকা পাবেন। ধীরে ধীরে সব দেশবাসীকেই টিকা দেওয়া হবে।’

একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ রয়েছে। এক মাসের মধ্যেই এই দুটি ডোজ নিতে হবে। ভ্রান্তির কোনও স্থান নেই। প্রথম ডোজ দু’সপ্তাহের মধ্যেই কাজ করবে।’ তাঁর কথায়, ‘আপনারা করোনার সময়কালে ধৈর্য দেখিয়েছিলেন, টিকা দেওয়ার সময় আপনার একই ধৈর্য প্রদর্শন করুন।’

টিকাকরণ শুরু হলেও দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর সতর্কবাণী, ‘টিকাকরণের পরও মাস্ক পড়তে হবে, ২ গজের দূরত্ববিধি মানতে হবে। গা ঢিলে দিলে পরিণতি কঠিন হতে পারে।’

দেশে তৈরি দু’টি করোনা টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাকরণের সূচনায় ‘জনতা কার্ফু’ ও লকডাউনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মোদী। বলেন, ‘জনতা কার্ফু ছিল ভারতীয়দের কাছে একজোট হওয়ার লড়াই। তখনই লকডাউনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। নিরাশার এই সময়ই আশার সঞ্চার করেছিল।’
গোটা দেশের মোট ৩০০৬ কেন্দ্রে টিকাকরণের কাজ হচ্ছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ১০০ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে দেশব্যাপী মোট ৩ কোটি মানুষকে টিকাকরণ করে হচ্ছে। এঁরা প্রত্যেকেই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন কর্মী।

ভ্যাকসিন নিয়ে দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দেশবাসীকে আস্বস্ত করেছেন তিনি। প্রধাননমন্ত্রী জানান, ‘দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। ভ্যাকসিনে যাবতীয় সতর্কতা নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যে ২টি ভ্যাকসিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে দু’টিই ভারতে তৈরি। ভবিষ্যতে আরও ভ্যাকসিন এলে নতুন করে পরিকল্পনা করা হবে।”

চলতি বছরের শুরুতে দুটি করোনা প্রতিষধক ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রের বিশেষ কমিটি। সেই মতো গোটা দেশে বণ্টন করা হয় ভ্যাকসিন। দিন কয়েক আগেই বাংলাতেও প্রায় সাত লক্ষ করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায়।

গোটা দেশের সঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গে চলছে টিকাকরণের কাজ। রাজ্যে মোট ২১২টি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার করা হয়েছে। তার মধ্যে কলকাতায় রয়েছে ১৯টি। প্রতি কেন্দ্রে প্রতিদিন ১০০ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ধারাবাহিক ভাবে চলবে অভিযান।#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article