Saturday, December 9, 2023

দিল্লি যাচ্ছেন শতাব্দী, বিজেপি-তে যোগ নিয়ে কী বললেন সাংসদ?

দিল্লি যাচ্ছেন শতাব্দী, বিজেপি-তে যোগ নিয়ে কী বললেন সাংসদ? রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে শনিবারই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়৷ তবে বিজেপি-তে যোগদান নিয়ে এখনও তিনি সিদ্ধান্ত নেননি বলেই জানিয়েছেন শতাব্দী৷

দিল্লি যাচ্ছেন শতাব্দী, বিজেপি-তে যোগ নিয়ে কী বললেন সাংসদ? রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে শনিবারই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়৷ তবে বিজেপি-তে যোগদান নিয়ে এখনও তিনি সিদ্ধান্ত নেননি বলেই জানিয়েছেন শতাব্দী৷

যদিও দিল্লিতে তাঁর কী কর্মসূচি রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ প্রসঙ্গত, আগামিকালই ফেসবুক লাইভ করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ৷ সেখানেই তিনি বিস্তারিত ভাবে সব বলবেন বলে জানিয়েছেন শতাব্দী৷

বৃহস্পতিবার বিকেলেই শতাব্দী রায় ফ্যান্স ক্লাবের ফেসবুক পেজে একটি বীরভূমের মানুষের উদ্দেশে একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী সাংসদ৷ সেখানে দলের একাংশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শতাব্দী৷ এ দিন তৃণমূল সাংসদ স্বীকার করে নিয়েছেন, ওই ফেসবুক পোস্ট তাঁরই করা৷ ফেসবুক পোস্টে নাম না করে দলের একাংশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন শতাব্দী রায়৷ অভিযোগ ছিল, বীরভূমের মানুষের কাছে যেতে তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ সেই কারণেই নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি৷ এর পরই তাঁর বিজেপি-তে যোগদান নিয়ে জল্পনা বাড়ে৷ এই পরিস্থিতির মধ্যেই শতাব্দীর দিল্লি যাত্রা নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে৷

এ দিন প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শতাব্দী বলেন, ‘আমার একটাই কথা, বীরভূমের মানুষ যেন আমাকে ভুল না বোঝেন৷ তাঁরা যেন না ভাবেন যে মানুষটাকে ভোট দিলাম তিনি পালিয়ে গেলেন৷ দশ বছর বীরভূমের মানুষের পাশে থেকেছি, ভবিষ্যতেও থাকব৷ গত এক বছর ধরে এলাকায় যেতে পারছি না৷ মানুষ তো আমাকে প্রশ্ন করছে, কেন আমি এলাকায় যাচ্ছি না৷ আমার যেখানে দোষ নেই তাহলে কেন এই অভিযোগ আমি শুনব? এর পিছনে কে আছেন আমি খুঁজছি৷’ দলীয় নেতৃত্বকে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন কি না প্রশ্ন করলে সাংসদের ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব, ‘রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে কি কোনও লাভ হয়? আমি জানি না৷ অনেকে হয়তো একটা বিষয় নিয়ে বার বার বলতেই থাকে, আর যাঁদের আত্মসম্মান থাকে তাঁরা দু’ একবার বলেন৷ আমি দ্বিতীয় দলে পড়ি৷’

বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়েও মুখে খুলেছেন শতাব্দী৷ তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির এমন অবস্থা যে কেউ অভাব, অভিযোগের কথা জানালেই বিজেপি যোগ খোঁজা হচ্ছে৷ কিন্তু সেটা সবার ক্ষেত্রে খাটে না৷ আর এই জল্পনা যে সত্যি নয়, তা ভবিষ্যতে প্রমাণ হয়ে যাবে৷’ একই সঙ্গে শতাব্দী দাবি করেছেন, দল ছাড়া মানেই সবাই ইডি- সিবিআইকে ভয় পাচ্ছে বা তাঁরা উচ্চাকাঙ্খী, কিছু পাওয়ার লোভে যাচ্ছেন এটা ভেবে নেওয়া ঠিক নয়৷ সবাইকে গোত্রে ফেলা ঠিক নয়৷ ৃ যাঁরা চলে যাচ্ছেন, দলের উচিত বসে কথা বলা৷ বিশেষত যাঁরা প্রথম থেকে দলে ছিলেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত বলেই মনে করেন শতাব্দী৷ সাংসদের কথায়, ‘লোভী বলেই সবাই দল ছাড়ছেন এমন নয়৷ এটা তো প্রথম সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো৷’

এ দিন শতাব্দী রায় আরও দাবি করেছেন, দু’ বার তিনি তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন৷ শেষ বার গত সেপ্টেম্বর মাসেও ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন, কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি৷ আক্ষেপের সুরে শতাব্দী বলেন, ‘যে পদে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে না, তা আঁকড়ে থেকে লাভ নেই৷’

যদিও শতাব্দীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব৷ দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সবারই আছে। তবে শতাব্দী রায় নিয়ে দলে কিছু বলেননি। কটাক্ষের সুরে সুখেন্দুশেখর রায় আরও বলেন, ‘দিকশূন্য হয়ে আমাদের কিছু আস্তাবলের বাতিল ঘোড়া চলে যাচ্ছে। কিছু জন আবার ফিরেও আসছে।’ বীরভূমে তৃণমূলের চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রী আশীষ রায়ের দাবি, তাঁকে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ জানাননি শতাব্দী৷

বিজেপি-তে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়েও মুখে খুলেছেন শতাব্দী৷ তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির এমন অবস্থা যে কেউ অভাব, অভিযোগের কথা জানালেই বিজেপি যোগ খোঁজা হচ্ছে৷ কিন্তু সেটা সবার ক্ষেত্রে খাটে না৷ আর এই জল্পনা যে সত্যি নয়, তা ভবিষ্যতে প্রমাণ হয়ে যাবে৷’ একই সঙ্গে শতাব্দী দাবি করেছেন, দল ছাড়া মানেই সবাই ইডি- সিবিআইকে ভয় পাচ্ছে বা তাঁরা উচ্চাকাঙ্খী, কিছু পাওয়ার লোভে যাচ্ছেন এটা ভেবে নেওয়া ঠিক নয়৷ সবাইকে গোত্রে ফেলা ঠিক নয়৷ ৃ যাঁরা চলে যাচ্ছেন, দলের উচিত বসে কথা বলা৷ বিশেষত যাঁরা প্রথম থেকে দলে ছিলেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলা উচিত বলেই মনে করেন শতাব্দী৷ সাংসদের কথায়, ‘লোভী বলেই সবাই দল ছাড়ছেন এমন নয়৷ এটা তো প্রথম সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো৷’

এ দিন শতাব্দী রায় আরও দাবি করেছেন, দু’ বার তিনি তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন৷ শেষ বার গত সেপ্টেম্বর মাসেও ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন, কিন্তু তা গ্রহণ করা হয়নি৷ আক্ষেপের সুরে শতাব্দী বলেন, ‘যে পদে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে না, তা আঁকড়ে থেকে লাভ নেই৷’

যদিও শতাব্দীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব৷ দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সবারই আছে। তবে শতাব্দী রায় নিয়ে দলে কিছু বলেননি। কটাক্ষের সুরে সুখেন্দুশেখর রায় আরও বলেন, ‘দিকশূন্য হয়ে আমাদের কিছু আস্তাবলের বাতিল ঘোড়া চলে যাচ্ছে। কিছু জন আবার ফিরেও আসছে।’ বীরভূমে তৃণমূলের চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রী আশীষ রায়ের দাবি, তাঁকে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ জানাননি শতাব্দী৷#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article