দিল্লি এখন রণক্ষেত্র লাঠি চার্জ-কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাল পুলিশ, রণক্ষেত্র সিঙ্ঘু সীমানা, লাঠি চার্জ-কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাল পুলিশ কৃষকদের লক্ষ্য করে স্থানীয়রা ইঁট ছুড়েছেন বলে অভিযোগ।
উত্তপ্ত সিঙ্ঘু সীমানা। কৃষক আন্দোলন বিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান প্রতিবাদী চাষীরা। কৃষকদের লক্ষ্য করে স্থানীয়রা ইঁট ছুড়েছেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ফলে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সিঙ্ঘু সীমানা।শুক্রবার সকাল থেকে সিঙ্ঘু এবং তিকরি সীমান্তেও ভিড় করতে শুরু করেন কৃষকরা। ফলে ওইসব এলাকায় কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কৃষকদের প্রতিবাদের মধ্যেই একদল এসে এলাকা ছালির দাবি জানায়। আন্দোলনের ফলে তাঁদের জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে বলে চিল্লাতে থাকেন স্থানীয়রা।
২৬ জানুয়ারি লালকেল্লায় তাঁণ্ডবের পর কৃষক আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সরে গিয়েছে বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন। একের পর এক কৃষক নেতার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। এমনকী বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর থেকে বিক্ষোভ হঠানোর জন্য নোটিসও জারি করেছে যোগী প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে যখন কৃষকদের আন্দোলন কিছুটা ব্য়াকফুটে বলে মনে করা হচ্ছে ঠিক তখনই আবারও গতি পাচ্ছে কৃষক আন্দোলন।
ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) মুখপাত্র রাকেশ তিকাইতের আবেগতাড়িত আবেদনের পর শুক্রবার সকাল থেকে সিংঘু এবং তিকরি সীমান্তেও ভিড় করতে শুরু করেছেন কৃষকরা। ফলে ওইসব এলাকায় কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ভারতীয় কিষাণ উনিয়ানের সদস্য, সমর্থকরা দিল্লি-মীরাট রোডে অবস্থানে বসেছেন। পুলিশি চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই ক্রমাগত কৃষকদের ভিড় বাড়ছে মীরাট, বাগপথ, বিজনৌর, মোরাদাবাদ, বুলান্দশহরে।
বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই গাজিপুর থেকে আবস্থানকারী কৃষকদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। সেই মত প্রস্তুতিও শুরু করে প্রশাসন। মজুত করা হয় প্রচুর পুলিশ বাহিনী, ব়্যাফ, জল কামান। এছাড়া, সিংঘু এবং টিকরির বিক্ষোভস্থলেও প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার পাশাপাশি জল সরবরাহও বন্ধ করে দেওয়া হয় গাজিপুরে।
পাল্টা প্রতিবাদী কৃষকরাও জানিয়ে দেন, কোনও মতেই তাঁরা গাজিপুরের বিক্ষোভস্থল ছাড়বেন না। এমনকী প্রশাসন জোর খাটালে ‘জীবন বাজি রেখে’ চরম আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন-এর জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত ভেজা চোখে বলেন, ‘আত্মহত্যা করব। কিন্তু, যতক্ষণ পর্যন্ত আইন প্রত্যাহার না হয়, ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
বৃহস্পতিবার রাতভর উত্তেজনার পর এদিন বেলায় গাজিপুরে গিয়ে প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি সীমানায় বিকোষভরত কৃষকদের জন্য পানীয় জলের বন্দ্যোবস্ত করে দেন।
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতকে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানান, কৃষকদের দাবি সঙ্গত। আপ কৃষকদের প্রতিবাদকে সমর্থন জানাচ্ছে। মঙ্গলবারের তাণ্ডবের জন্য কৃষকদের দোষারোপ, ও তাদের বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগে মামলা দায়ের, বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা সম্পূর্ণ নিন্দাযোগ্য।#