দিল্লির লালকেল্লায় কৃষকদের তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা RSS-এর, লালকেল্লায় ঢুকে ধর্মীয় নিশান ওড়ানো এবং পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় কৃষক আন্দোলনের কড়া সমালোচনা করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।
মঙ্গলবারের ঘটনাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছে আরএসএস। দেশের স্বাধীনতার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের চরম অসম্মান করা হয়েছে লালকেল্লায় নিশান সাহিবের পতাকা উত্তোলন করায়, এমনটাই দাবি আরএসএসের।
এদিনের ঘটনায় আরএসএসের তরফে সমস্ত দেশবাসীকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, রাজনীতি ও মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। তারা জানিয়েছে, দিল্লিতে এই হিংসা ও তাণ্ডবের ফলে প্রজাতন্ত্র দিবসের গরিমা নষ্ট হয়েছে। এটা অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও দুর্ভাগ্যজনক। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক সুরেশ ভাইয়াজি জোশী।
ভাইয়াজির মতে, লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা ছাড়া অন্য কোনও পতাকা উত্তোলন অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এটা বীর শহিদদের অপমান, যাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় একতার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। রাজধানীতে এই হিংসা ও তাণ্ডবের ফলে প্রজাতন্ত্র দিবসের গরিমা নষ্ট হয়েছে। এটা অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও দুর্ভাগ্যজনক। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক সুরেশ ভাইয়াজি জোশী।
এদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলের জেরে হিংসাত্মক ঘটনায় প্রায় ১৫০-র বেশি পুলিশকর্মী ঘায়েল হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ২ জনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
মঙ্গলবার কৃষক-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের জেরে রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় রাজধানী। উন্মত্ত জনতাকে শান্ত করতে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জেরও অভিযোগ উঠেছে। তবে পাল্টা দিয়েছে কৃষকরাও। বিক্ষোভরত কৃষকরা পুলিশের উপর লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা করেন বলে অভিযোগ।#