জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) ২০২১ উপলক্ষ্যে আটটি বিভাগীয় দল চূড়ান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, জাতীয় ক্রিকেট লীগ এই মৌসুমে ক্রিকেটারদের জন্য আরও ভাল উইকেট, আরও স্পোর্টস পিচ অফার করা হবে। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এনসিএলের শেষ মৌসুমটি বন্ধ রাখা হয়। তবে বোর্ড এই বছরের ২২ শে মার্চ থেকে লিগ চালানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রতিটি দলের জন্য ১৮ জন সদস্য নিয়ে আমরা আটটি বিভাগীয় দল চূড়ান্ত করেছি। লিগটি ২২ শে মার্চ থেকে শুরু হতে পারে। তবে সবকিছুই ক্রিকেটারদের কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার অগ্রগতির উপর নির্ভর করবে।”
মিনহাজুল আরও বলেন, “আমরা লাল-বলে আরও ভাল এবং আরও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলতে পারি যার মাধ্যমে টেস্টে আমরা আরও ভাল করতে পারি। সুতরাং আমরা এই লীগের দিকে নজর রাখছি যাতে খেলোয়াড়রা ভাল পারফরম্যান্স করতে পারে,” মিনহাজুল আরও বলেন।
এনসিএল, দেশের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ প্রথম শ্রেণির ইভেন্ট। এই ইভেন্টটি প্রায়শই সাব-স্ট্যান্ডার্ড উইকেটের কারণে সমালোচিত হয়। বিশেষত উইকেট পেস বোলারদের তেমন সহায়তা দেয় না। তবে মিনহাজুল বলেন, উইকেটকে আরও খেলার উপযোগী করতে বোর্ড কঠোর পরিশ্রম করছে। “আমরা আশা করি যে, এবারে উইকেটগুলি ভালভাবে প্রস্তুত করা হবে। কমপক্ষে দুই ধরণের উইকেট প্রস্তুত করা হবে যাতে খেলোয়াড়রা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিতে এবং তাতে অভ্যস্ত হতে পারে।” তিনি বলেন।
জাতীয় দলের সদস্যরা এনসিএলে কমপক্ষে দুটি রাউন্ড মিস করবেন। কারণ তারা এখন তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য নিউজিল্যান্ড সফরে রয়েছেন।
তারা বাংলাদেশে ফিরে আসার মধ্যেই, তফসিল অনুসারে এনসিএলের দুটি রাউন্ড শেষ হবে। তবে মিনহাজুল বলেছেন, জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা দু’ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার পূর্বে জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ড খেলার সুযোগ পাবে।
মিনহাজুল আরও বলেন, জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা যদি এনসিএলের একটি রাউন্ডেও অংশ নিতে ব্যর্থ হয়, তবে বোর্ড টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে শ্রীলঙ্কায় তিন দিনের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবে।