প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বীমা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বীমা খোলার সুবিধা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বীমার সুবিধাগুলি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমি আশা করি, যারা বীমা খাতে জড়িত তারা উদ্যোগ নেবেন যাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো যেতে পারে।”
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত জাতীয় বীমা দিবস ২০২১ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালে এই প্রোগ্রামে যোগদান করেন। এবারের জাতীয় বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার, বিমা হোক সবার’। তিনি বলেন, সচেতনতা তৈরি করতে পারলে মানুষ বিভিন্ন ধরণের বীমা পলিসি খোলার জন্য উদ্বুদ্ধ হবে। “এই লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে ব্যাপক প্রচার প্রয়োজন,” তিনি বলেন।
শেখ হাসিনা বীমা শিল্পের বিকাশের জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের বিবরণ দিয়ে বলেন, ১৯৩৮ সালের পুরনো আইনের পরিবর্তে বীমা আইন, ২০১০ প্রণয়ন করা হয় এবং জাতীয় বীমা নীতি ২০১৪ও প্রণয়ন করা হয়। তিনি আরও বলেন, সরকার শিল্পকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, ২০১০ গঠন করেছে। দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে ৬৩২ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় সরকার সকল বীমা প্রতিষ্ঠানকে অটোমেশন ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
অর্থমন্ত্রী এএইচএম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ বীমা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম প্রমুখ উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অর্থমন্ত্রী এএইচএম মোস্তফা কামাল দেশের বীমা খাতে অবদানের জন্য বিমা পদক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা সনদ বিতরণ করেন।#