জনবহুল ঢাকার নিম্নমানের পরিবহন ব্যবস্থা। এ নিয়ে গণপরিবহনের যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। জনবহুল ঢাকার নিম্নমানের পরিবহন ব্যবস্থা যেন আধুনিক ঢাকার সাথে মোটেই মানানসহ নয়।
নগর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি দারুনভাবে এগিয়েছে, তবুও এদেশের রাজধানী ঢাকাতে এখনও মানুষের উন্নত জীবনযাত্রার সাথে মানানসই মানের বাসের বহরের অভাব রয়েছে।
তারা বলেছে যে বর্তমানে বিদ্যমান প্রায় ৮,০০০ পাবলিক বাস ঢাকার মতো রাজধানী শহরে চলার জন্য সম্পূর্ণভাবে অনুপযুক্ত। এই অনুপযুক্ত বাসগুলিকে উঠিয়ে নিয়ে সেগুলির স্থানে উচ্চ মানের মানসম্মত এবং আরামদায়ক গাড়ি একটি প্রতিস্থাপনের মতো একটি ব্যাপক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
বিশিষ্ট নগর বিশেষজ্ঞ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, বুয়েটের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরোয়ার জাহান এবং নগর বিশেষজ্ঞ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব আরও অনেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
কয়েক মাস আগে ইউএনবির সাথে কথা বলার সময় এই পর্যবেক্ষণগুলি প্রকাশ করা হয়। অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর বাসগুলির অবশ্যই গ্রহণযোগ্য মান থাকতে হবে।
ঢাকায় বিদ্যমান বাস পরিসেবা ন্যূনতম মানের চেয়ে অনেক নিচে। আমাদের ব্যক্তিগত যানবাহনের উপর মানুষের নির্ভরতা হ্রাস করতে আমাদের অবশ্যই গুণগতমান সম্পন্ন, আরামদায়ক এবং যাত্রীবান্ধব বাস পরিসেবাগুলি নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা একটি জনবহুল শহর হিসাবে, নগর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিবহন সংকট সমাধানের জন্য এবং বিদ্যমান রাস্তাগুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে ডাবল ডেকার বাসগুলি এখানে খুবই কার্যকর। এছাড়াও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যমান রুটকে যুক্তিযুক্ত করে সরকারকে বাসকে পাঁচ-ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজির আওতায় আনতে হবে। “যানবাহনগুলি সীমিত ফ্র্যাঞ্চাইজির আওতায় এলে বাস পরিচালনা ব্যবস্থার উন্নতি হবে।”
সরকারী সমীক্ষার বরাত দিয়ে ইকবাল হাবিব বলেছিলেন, ২০০১ সালে ঢাকা শহরের শহরের মধ্যে চলাচলকারি বাসগুলোর মধ্যে নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক বাস ব্যতীত বাকি অধিকাংশ বাসই রাজধানী ঢাকা শহরের পক্ষে বেশ অযোগ্য ও বেমানান। এটি সরকারী সমীক্ষা, আমার ব্যক্তিগত মতামত নয়।#