Saturday, December 9, 2023

চারটি কারণে রেহাই ইরফান সেলিমের

চারটি কারণে রেহাই ইরফান সেলিমের

চারটি কারণে রেহাই হাজী সেলিম পুত্র ইরফান সেলিমের

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের করা অস্ত্র ও মাদক মামলা থেকে, চারটি কারণে রেহাই হাজী সেলিম পুত্র ইরফান সেলিমের

ঢাকা ৭ নং আসনের সাংসদ হাজি মোহাম্মদ সেলিমের পুত্র ঢাকা সিটিকর্পরেশনের নির্বাচিত কমিশনার ইরফান মোহাম্মদ সেলিম কে যে চারটি কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তা হলো,

প্রথমতঃ এজাহারে ত্রুটি, দ্বিতীয়তঃ ঘটনাস্থল ঠিক না-হওয়া, তৃতীয়তঃ সাক্ষ্য প্রমাণ না-থাকা এবং চতুর্থতঃ সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের বক্তব্যের অভাব। দুটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সোমবার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুটি দাখিল করা হয়েছে।

মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কার দেখানো মতে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে তা মামলার এজাহারে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এজাহার অনুযায়ী, র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তদন্তকালে অস্ত্র ও মাদকের সপক্ষে কোনো সাক্ষী পাওয়া যায়নি। তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার মডেল থানার পরিদর্শক মুহম্মদ দেলোয়ার হোসেন সোমবার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনগুলো দাখিল করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, র‌্যাবের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় অনেকের মনে নানা প্রশ্ন উঠতে পারে। জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ারও সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মনে করে, এক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন ওঠা বা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, মামলা হলো প্রাথমিক প্রতিবেদন। তদন্তকালে এর সত্যতা না পাওয়া অস্বাভাবিক কোন কিছু নয়।

অতীতেও পুলিশ বাদী হয়ে অনেক মামলা করার পর তদন্তের পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এর অসংখ্য প্রমাণ আছে। তিনি বলেন, ইরফান সেলিমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও তার সহযোগী জাহিদুল মোল্লার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। কারণ, জাহিদুলের বিরুদ্ধে এজাহারে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

তার কাছে অস্ত্র ও মাদক পাওয়া গেছে। এক প্রশ্নের জবাবে উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন জানান, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় ইরফানের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগির এ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমণ্ডিতে হাজি মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করে। এ ঘটনায় পরদিন ইরফানসহ আরও চারজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন ওই কর্মকর্তা। ২৬ অক্টোবর পুরান ঢাকায় হাজি সেলিমের বাসায় দিনভর অভিযান চালায় র‌্যাব। ইরফানকে দেড় বছর ও তার দেহরক্ষীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।#

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article