খালেদার কারাগারের সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পূর্ববর্তী শর্ত সাপেক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদার কারাগারের সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাসসকে বলেন, “আমি খালেদার কারাগারের সাজা স্থগিতের জন্য আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। এ বিষয় সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খুব দ্রুত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।”
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে এই বিষয়ে মতামত জানতে চায়। কারণ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাই জনাব শামীম ইস্কান্দার খালেদার স্বাস্থ্যগত কারণে তার জেলের সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিল।
সরকার ২০২০ সালের ২৫ শে মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় মাস মানবিক কারণ দেখিয়ে, কারাগার থেকে মুক্তি দেয় এই শর্তে যে, এই সময়ে তিনি তার নিজের বাড়িতে অবস্থান করবেন এবং দেশের অভ্যন্তরে চিকিত্সা করতে হবে। এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর সরকার খালেদা জিয়ার কারাগারের সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধি করে যার সাথে আগেরকার শর্তও জুড়ে দেয়া হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ কোর্ট-৫, ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন সহ সকল আসামীকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় “পলাতক” বড় ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে একটি রিভিশন আবেদনের ফলশ্রুতিতে হাইকোর্ট ৩০ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করে।
ঢাকার বিশেষ জজ কোর্ট-৫, ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ তিন জনের প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে।এছাড়াও আদালত এ মামলায় প্রত্যেক আসামীকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করে, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড ভোগের রায় প্রদান করে।
অবশ্য বিএনপি নেতাদের দাবী হলো, তাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।#