কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ৭২৫ কিলোমিটার খাল খননের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে, সরকার। কৃষিকে আরও লাভজনক করার এবং ফসল উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়াসে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি ৭২৫ কিলোমিটার খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
“রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবনের প্রায় ১৩,১৮৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা পাহাড়ের সাথে আচ্ছাদিত রয়েছে যা খাদ্য উৎপাদন তথা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।” কৃষিমন্ত্রী ডাঃ রাজ্জাক চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী কৃষিক্ষেত্রকে আরও লাভজনক করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষিক্ষেত্রকে এলাকাভিত্তিক কৃষি বৈচিত্র্যকরণ কর্মসূচী বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলেন। তিনি দেশবাসীকে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের জন্য সুসংহত কৃষিকাজ বৃদ্ধিতে আরও আন্তরিক হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন।
এ ছাড়াও ডা. রাজ্জাক বলেন, কৃষিকে আধুনিকায়নের জন্য ২১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পগুলির ফল অবশ্যই কৃষকদের নিকট পৌঁছেছে। আঞ্চলিক কৃষি কর্মকর্তারা তাদের সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির বর্তমান পরিস্থিতি, সমস্যা ও কৃষির সমৃদ্ধি সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশ এক সময় ছিল সম্পূর্ণ কৃষি নির্ভর। এক সময় দেশের শতকরা আশি ভাগ লোকের আয়ের প্রধান উৎস ছিল কৃষি। বৈদেশিক আয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ আসত কৃষিখাত থেকে। কিন্তু দিন দিন কৃষি জমি হ্রাস পাওয়া, ভূমিহীন কৃষকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া, কৃষি উপকরণের ঊর্ধ্বমূল্য এবং কৃষকদের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া সহ নানাবিধ সমস্যা জেকে বসেছে এই খাতের উপর। প্রকৃত কৃষকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এই পেশা থেকে। এমতাবস্থায় সরকারের এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। দেশকে এগিয়ে নিতে তথা দেশের মানুষের উন্নতিতে এমন প্রকল্প গ্রহণ নিঃসন্দেহে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।#