কঠিন সময়ে সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদঃ মার্কিন রাষ্ট্রদূত
কঠিন সময়ে সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদঃ মার্কিন রাষ্ট্রদূত- বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের সমর্থন, বন্ধুত্ব এবং গণতন্ত্রের সাথে অংশীদারিত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
শনিবার এক বার্তায় তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশের অনেক নাগরিককে ধন্যবাদ জানাই, যারা এই কঠিন সময়ে সহায়তার বার্তা পাঠিয়েছেন।” মিলার বলেন, যারা তাদের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সহিংস অপরাধমূলক অপরাধ করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে।
ওয়াশিংটনে সদ্য সাম্রতিক ঘটা নিন্দনীয় ঘটনা সত্ত্বেও, মার্কিন কংগ্রেস তার সাংবিধানিক দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে।অর্থাৎ জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট এবং কমলা ডি হ্যারিসকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণার মাধ্যমে সংঘটিত নির্বাচনের ফলাফলকে সঠিক হিসাবে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন নির্বাচিত নতুন প্রতিনিধিরা আগামী ২০শে জানুয়ারী ২০২১ তারিখে শপথ গ্রহণ করবেন।রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন যে, প্রতিটি গণতান্ত্রিক জাতির গল্প তাদের প্রতিষ্ঠাতা আদর্শের অনুসারী হয়ে লড়াই, যা অসম্পূর্ণ এবং চলমান।”গণতন্ত্র পরীক্ষা করা হয়। কখনও কখনও আমরা হোঁচট খায়। কিন্তু প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নাগরিকদের কাজের মাধ্যমে আমরা ফিরে আসি এবং সর্বদা আমাদের যে নীতিগুলি লালন করি সেগুলি অনুসরণ করার চেষ্টা করি,” তিনি বলেছিলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমেরিকাতে, আমরা সর্বদাই এটি করি। আমরা একসাথে ন্যায়বিচার, আইন এবং একে অপরকে এবং আমরা যে জাতিকে ভালোবাসি সেই জাতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার বিষয়টি স্বীকার করি।”
বুধবার মার্কিন ক্যাপিটালে মারাত্মক বিদ্রোহের ঘটনার পরে “গোলযোগে আরও উস্কানি দেওয়ার ঝুঁকি” উল্লেখ করে টুইটার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটিকে শুক্রবার নিষিদ্ধ করেছে।
টুইটার দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্প এবং অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের ব্যক্তিগত আক্রমণ, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং অন্যান্য আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে।তবে শুক্রবার তার ব্লগে পোস্ট করা একটি বিশদ ব্যাখ্যায় সংস্থাটি বলেছে যে, সাম্প্রতিক ট্রাম্পের টুইটগুলি গোলযোগ পরিস্থিতিকে বাড়িয়ে দেয়ার মতো ছিল, যখন রাজধানীতে দাঙ্গার জন্য সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছিল এবং নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভবিষ্যতে সশস্ত্র বিক্ষোভের জন্য অনলাইনে প্রচারের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।
বুধবারের সহিংসতার পরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। এপি’র বার্তা অনুসারে, ফেসবুক ২০ জানুয়ারির জন্য ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে এবং সম্ভবত অনির্দিষ্টকালের জন্য।#