ঐতিহাসিক ৭মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ স্মরণ করে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলিতে দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। ঐতিহাসিক ৭মার্চ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেছিলেন । যে ভাষণ বাঙ্গালি জাতিকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
উজবেকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, ভিয়েতনামের হানয় শহরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, চীনের কুনমিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ কনসুলেট, জাপানের টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, ইরানের তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে দিবসটিকে পালন করেছে।অনুষ্ঠান উদযাপনের অংশ হিসাবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীগুলি সেখানে পাঠ করা হয়।
বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক পেশাদার সংস্থার নেতৃবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী স্ব স্ব মিশন চত্বরে এই কর্মসূচিতে যোগদান করেন।
উজবেকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযোগ্য ও শ্রদ্ধার সাথে পালন করেছে। জাতীয় সংগীত বাজানো ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: জাহাঙ্গীর আলমের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশের কনসুলেট জেনারেলে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কনস্যুলেট জেনারেল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিশেষ প্রার্থনা ও মোনাজাত, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পাঠ করা হয়। এছাড়াও ৭ ই মার্চের ভাষণের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
জাপানের টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পরে জাতীয় সংগীত বাজানোর পাশাপাশি দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসাবে ‘এক মিনিটের নীরবতা’ পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাপানী নাগরিক এবং প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে ইরানের তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসেও ৭ই মার্চ দিবসটিকে যথাযোগ্য সম্মানের সাথে পালন করা হয়। অনুষ্ঠানটিকে দুইভাগে ভাগ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে সকাল ৯:০০ ঘটিকার সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।৯:১৫ ঘটিকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত বাণী পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রথম অংশের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানের ২য় পর্ব শুরু হয় সন্ধ্যা ৬:৩০ ঘটিকায় এবং পরিসমাপ্তি ঘটে ৮:৩০ ঘটিকায়।অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে জুমের মাধ্যমে ওয়েবমিনারের আয়োজন করা হয়। উক্ত ওয়েবমিনারে ইরানে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশীদেরকে অংশগ্রহণ করার জন্য আহবান ও দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।