ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পরে তিনি স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসাবে কিছু সময়ের জন্য নীরবতা পালন করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা শেখ রেহানা ও এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে উপস্থিত ছিলেন। এসময় ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট শহীদদের বিদেহী আত্মার মুক্তির জন্য মোনাজাত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ১৯৭১ সালের এই দিনে, বঙ্গবন্ধু তাঁর অগ্নিঝরা ও মনোমুগ্ধকর বক্তৃতা দিয়ে দীর্ঘকালীন সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বাঙ্গালী জনতাকে তৎকালীন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষের উপস্থিতিতে স্বাধীনতার পূর্বে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব তবুও এ দেশকে স্বাধীন করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। এই দিনের সেই ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমা আরও বলেছিলেন, আপনাদের যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর বিপক্ষে ঝাপিয়ে পড়ুন।
ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উপলক্ষ্যে জাতির স্বাধীনতার যাত্রা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে পৃথক পৃথক বার্তা জারি করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন: “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল বিশ্বের অন্যতম উদযাপিত ভাষণ। এই ভাষণ স্বাধীনতা-সন্ধানী জনগণকে পরাধীনতার শৃঙ্খলা ভেঙে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য একটি দুর্দান্ত ও কার্যকরী বার্তা ছিল এটি। ” “৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সম্বোধন কেবল আমাদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের স্বাধীনতা-প্রেমী মানুষের জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণটি মুক্তিযুদ্ধের সময় অপরিসীম শক্তি হিসেবে কাজ করেছিল।এই ভাষণ বিশ্বব্যাপী বঞ্চিত, নিপীড়িত ও স্বাধীনতা-সন্ধানকারীদের চিরন্তনভাবে অনুপ্রাণিত করবে। ”