উপহারের এই টিকা হলো প্রতিবেশীর সাথে পারস্পরিক সুসম্পর্কের নিদর্শন: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.আব্দুল মোমেন বলেন, ভারত থেকে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ২০ লক্ষ ডোজ আগত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্ক এবং সদিচ্ছাকেই প্রমাণ করে। এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। তাদের (হাসিনা ও মোদী) মধ্যে সৌহার্দোপূর্ণ ও দৃঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান। এটি হলো সেই সুদৃঢ় বন্ধনের নমুনা। যার ফলশ্রুতিতেই “অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনটি ভারত থেকে উপহার হিসাবে পাওয়া গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ একে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন হস্তান্তর করেন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম প্রমুখ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম দিন থেকেই কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অংশীদারি ও সহযোগিতার উপর জোর দিয়েছেন।” ভারত থেকে আজকের উপহার পারস্পরিক অংশীদারিত্ব, সহযোগিতা এবং আস্থার লক্ষণ।” ডাঃ মোমেন আরও বলেন, সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব বিশ্বের প্রতিটি দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, অনেক উন্নত দেশ এখনও এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারেনি এবং বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রাথমিক গ্রহীতা।
ভারতের নেবারহুড ফার্স্ট নীতিমালার আওতায় ভারত বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিসেম্বরে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, ভারতে যেমন ভ্যাকসিন তৈরি করা হয় তেমনি বাংলাদেশেও সরবরাহ করা হবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর “ভ্যাকসিন মৈত্রী” তে টুইট করে বলেছেন যে, বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে।ভারতীয় হাই কমিশনার দোড়াইস্বামী বলেছেন, এটি সর্বোচ্চ স্তরে করা প্রতিশ্রুতির একটি অংশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যকার সুসম্পর্ক এবং ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতির অংশ হিসাবে তিনি এটিকে অভিহিত করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত বন্ধু হিসাবে একসাথে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের বলেন, “সরকার কোভিড-১৯ ভাইরাস পরিস্থিতিকে সফলভাবে মোকাবেলা করছে। শেখ হাসিনার সরকার কভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং এর পরিচালনা ও টিকা সফলভাবে সম্পন্ন করবে, ইনশাআল্লাহ।”#