Saturday, December 9, 2023

উপবৃত্তি পাওয়ার আশায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর সাইবার ক্যাফেতে ভিড় পঞ্চগড়ে

উপবৃত্তি পাওয়ার আশায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করার জন্য কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পঞ্চগড়ে সাইবার ক্যাফেতে ভিড় করেন। শিক্ষার্থীরা কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করা সত্ত্বেও তাদের বেশিরভাগই রবিবার অনলাইনে নিবন্ধকরণ শেষ করতে পারেনি।

উপবৃত্তি পাওয়ার আশায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করার জন্য কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পঞ্চগড়ে সাইবার ক্যাফেতে ভিড় করেন। শিক্ষার্থীরা কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করা সত্ত্বেও তাদের বেশিরভাগই রবিবার অনলাইনে নিবন্ধকরণ শেষ করতে পারেনি।

উপবৃত্তি পাওয়ার আশায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন শেষ করতে অনেকে তাদের ডকুমেন্টগুলি সাইবার ক্যাফেতে রেখে গেছেন।রোববার উপবৃত্তি আবেদনের শেষ তারিখ বলে জানা যায়।

স্টুডেন্টরা বলেছেন যে, উপবৃত্তি পাওয়ার আশায় নিবন্ধনের জন্য তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে দিতে হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিএসএইচই) একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, কোভিড -১৯ পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ভাতার আবেদনের সময়সীমা ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

পঞ্চগড়ের রিয়াজউদ্দিন মার্কেট, কদম তলা বাজার, সিনেমা হল রোড এবং পঞ্চগড়-তেতুলিয়া মহাসড়কের পাশে কম্পিউটারের দোকানগুলোতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে। তারা বলেছে যে, তারা বিভিন্ন মাধ্যমে, তাদের শিক্ষক এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে বিশেষ ভাতা সম্পর্কে জানতে পেরেছে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এলাকাগুলোতে অবস্থান করায় যানজটের সৃষ্টি হয়। রিয়াজউদ্দিন মার্কেটের হানিফ কম্পিউটারের মালিক আবু হানিফ জানান, তারা গত এক সপ্তাহ ধরে সার্ভার গ্লিটচের মুখোমুখি হয়েছেন।শিক্ষার্থীরা দোকানে ভিড় করছে। আমরা তাদের নিবন্ধকরণের জন্য ১০০ টাকা চার্জ নিচ্ছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

একই মার্কেটের রশিদুল আলম জানান, তারা  খুব কম সংখ্যকই নিবন্ধনের জন্য আবেদন কমপ্লিট করতে পারছেন । তিনি বলেন,  “আমরা সার্ভারটি ভালভাবে অ্যাক্সেস করতে পারছি না। দেড় শতাধিক আবেদনকারী আমাদের কাছে তাদের নথিপত্র এবং সার্ভিস চার্জ দিয়েছেন।”

ইন্টারনেট ক্যাফে কর্মীরা বলছেন যে, শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সুপারিশ পত্র, এনআইডি, তাদের পিতামাতার এনআইডি কার্ড এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও একটি মোবাইল নম্বর সহ ১০০০০ টাকার ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

জেলার উত্তর দার্জিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির রানী বলেন, “আমরা আমাদের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে নিবন্ধন করতে এসেছি। তবে সার্ভার এবং নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে আমরা নিবন্ধকরণ শেষ করতে পারি নি।” তিনি বলেন, এর মধ্যে ৬৫ জন তাদের কাগজপত্র এবং টাকা দুটি সাইবার ক্যাফেতে রেখে গিয়েছে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য।

পঞ্চগড় সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মাহমুদুল হক বলেন, উপবৃত্তি বা বিশেষ ভাতা সম্পর্কে তিনি কোনও সরকারী চিঠি পাননি। তিনি বলেন, “তবে আমার অনেক শিক্ষার্থী আমাদের কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে গেছে।” পঞ্চগড় সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মজিবর রহমান জানান, তারা প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীকে সুপারিশ পত্র প্রদান করেছেন।

তবে জেলার শিক্ষা অফিসার মো: শাহিন আক্তার জানিয়েছেন,  ১০,০০০ টাকা উপবৃত্তি সংক্রান্ত কোন ঘোষণার বিষয়ে তিনি ওয়াকিবহাল নন। তিনি আরও বলেন, “আমি এই বিষয়ে কোনও সরকারী চিঠিও পাইনি।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Latest article