আওয়ামীলীগ নেতা হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে সোমবার চকবাজার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা একটি মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী পরিদর্শক মহম্মদ দেলোয়ার হোসেনের তদন্ত কর্মকর্তার করা আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান এ আদেশ দেন। ২৮ অক্টোবর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নং ওয়ার্ডের বরখাস্ত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক চারটি মামলা করা হয়। চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মামলা করেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর, অবৈধ ওয়াকি-টকিজ ও মদ পান করার অভিযোগে ইরফান ও তার দেহরক্ষীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (রব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাব জানান, ইরফান ও জাহিদকে মদ পান করার অভিযোগে তাদের প্রত্যেককে ছয় মাস এবং অবৈধভাবে ওয়াকি-টকি রাখার জন্য আরও ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়েছিল। র্যাব ইরফানের বাড়ি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৮ টি ওয়াকি-টকি এবং মদ জব্দ করে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করার জন্য ইরফানকে ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০ পুরান ঢাকার দেবদাস লেনে তার বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওয়াসিফ হামলার ঘটনায় চারজন এবং নামহীন কয়েকজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অপর তিন আসামি হলেন- এ বি সিদ্দিক দিপু (৪৫), মোঃ জাহিদ (৩৫) এবং মোঃ মিজানুর রহমান (৩০)। চারজনই এখন কারাগারে রয়েছেন।
মামলার বিবৃতি অনুসারে, ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের কাছে ভুক্তভোগী ওয়াসিফের মোটরসাইকেলে একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দেয়, যখন সে ও তার স্ত্রী নীলক্ষেত থেকে তাদের মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরছিল।
পরে কয়েকজন গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তার স্ত্রীকে মৌখিকভাবে টর্চার করে। এদিকে, নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনার অভিযোগে সরকার ইরফানকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। ৫ জানুয়ারি ঢাকার একটি আদালত এই মামলায় ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করে।১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি আদালত এ ঘটনায় দায়ের করা অস্ত্র মামলা থেকে ইরফানকে মুক্তি দিয়েছে।#