ইতালিতে বাংলাদেশী শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রেরকদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান
ইতালিতে বাংলাদেশী শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রেরকদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইতালির রোমে বাংলাদেশের দূতাবাস পাঁচ প্রবাসী বাংলাদেশি এবং একটি ব্যবসায়িক সংস্থাকে “রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড” দিয়ে সম্মানিত করেছে।
২০২০ সালের পুরষ্কারপ্রাপ্তরা হলেন, কার্তিক চন্দ্র ঘোষ, সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মোঃ সফি উল্লাহ, কামরুল হাসান এবং মেহেনাস তাবাসসুম।তারা ২০১৯ সালের জুলাই মাস হতে ২০২০ সালের জুন মাস এর মধ্যে ইতালি থেকে বাংলাদেশে শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রেরক হিসাবে পুরষ্কার লাভ করার সৌভাগ্য অর্জন করেন।
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রেরকদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন।গত বৃহস্পতিবার “আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০” উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস আইনসিদ্ধ চ্যানেলগুলির মাধ্যমে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণকে উৎসাহিত করার জন্য এবং প্রচার ও প্রসার করার জন্য ২০১৯ সালে “রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড” চালু করেছে বলে গত রোববার দূতাবাস মারফত জানা যায়।
১৮ ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসটিকে অনিবার্য কারণে তার নির্ধারিত দিনে আয়োজন করা সম্ভব হয় নি।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মিশনের অন্যান্য আরও কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ইতালিতে কোভিড-১৯ মহামারী তীব্রতর হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, আয়োজকরা সে দেশের কঠোর স্বাস্থ্য বিধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ন্যূনতম উপস্থিতি সহ একটি অভ্যন্তরীণ পরিবেশে এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।অনুষ্ঠানে মাননীয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বার্তা পাঠ করে শোনানো হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে, দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রমকল্যাণ) মোঃ আরফানুল হক- প্রবাসীদের অধিকার সংরক্ষণ, তাদের কল্যাণ এবং আরও বেশি রেমিট্যান্স প্রেরণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন।
অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তরাও তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং তাদেরকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন।
রাষ্ট্রদূত আহসান সকল পুরষ্কারপ্রাপ্তগনকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানান। মূল্যবান রেমিটেন্স প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশের সম্মানিত প্রবাসীরা যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন তা স্বীকার করে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন যে, বর্তমান সরকার প্রবাসী-বান্ধব সরকার। তিনি মুজিব বর্ষের স্লোগানের প্রেক্ষাপটে বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত বড় বড় পদক্ষেপগুলির সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।
জনাব আহসান উল্লেখ করেন যে, কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন বিভিন্ন দেশে আটকা পড়ে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং যারা তাদের চাকরি হারিয়েছে তাদেরকে সরকার আর্থিকভাবে সহায়তা দিয়েছে।রাষ্ট্রদূত আরও জানান, পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান কল্পে এবং পরিষেবার মানের উন্নতির জন্য দূতাবাস কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।#