আরিচা-কাজিরহাট রুটে প্রায় দুই দশক পর ফেরি চলাচল শুরু হয় শনিবার। আজ সকালে মানিকগঞ্জ জেলার আরিচা পয়েন্টে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এই রুটে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করেন।
ফেরী পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ার মাধ্যমে যাত্রীরা আরিচা পয়েন্ট থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে কাজিরহাটে পৌঁছাতে পারবেন এবং ফেরত আসর ক্ষেত্রে মাত্র এক ঘন্টা ২০ মিনিট সময় ব্যয় হবে। একটি রোরো ফেরী এবং দুটি মাঝারি আকারের ফেরি দিয়ে উক্ত রুটে ওয়াটার বোট পরিষেবা সরকারীভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় চালু করা হয়।
ফেরী পরিষেবা ব্যবহারের মাধ্যমে নদী পার হওয়ার জন্য একেকটি যাত্রীবাহী বাসকে ২,০৬০ টাকা ভাড়া দিতে হবে, প্রতিটি ট্রাক পার হওয়ার জন্য ট্রাক চালককে ১৪০০ টাকা দিতে হবে। একেকটি মাইক্রোবাসের জন্য এক হাজার টাকা, একটি প্রাইভেট কারের জন্য ৬৮০ টাকা, একটি বাইকের জন্য ১০০ টাকা এবং প্রত্যেকটি মানুষ পার হতে মাথা প্রতি ২৫ টাকা করে প্রত্যেকের কাছ থেকে চার্জ নেওয়া হবে।
এই রুটে ফেরী চলাচলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ -৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জনাব গোলাম সাদেক এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জনাব সৈয়দ মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতকারী লোকদেরকে সরকারী উপহার হিসাবে ফেরি সার্ভিসটি পুনরায় চালু করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
আরিচা-কাজিরহাট নদীপথকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এব ঢাকার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসাবে বিবেচনা করা হবে এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভারী যানবাহন পারাপারের পাশাপাশি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করা যানবাহনকে এই ফেরি পরিষেবা ব্যবহার করে নদী পার হতে দেওয়া হবে।
নাব্যতা সংকটের কারণে আরিচা-কাজিরহাট রুটে ২০০১ সাল থেকে ফেরি চলাচলে সমস্যা সৃষ্টির কারণে স্থগিত করা হয়। পরে আরিচা-কাজিরহাট রুটটি পুনরায় চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ড্রেজিংয়ের কাজ পরিচালনা করে।অবশেষে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা সংকট থেকে উত্তরণের মাধ্যমে জনগণের বৃহত্তর সুবিধার কথা চিন্তা করে ফেরী চলাচল পূণরায় শুরু করা সম্ভব হয়েছে।#