অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদন অপসারণে হাইকোর্টের নির্দেশ
হাইকোর্ট (এইচসি) আজ বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দেশের সকল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কাতার ভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরার বাংলাদেশের সরকারকে নিয়ে প্রতিবেদন সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ বিষয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ এ আদেশ দেন। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন।
আদালত সমস্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ডকুমেন্টারিটি অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। আদালত অবিলম্বে আদেশটি কার্যকর করতে বলেছে। প্রয়োজনে বিটিআরসির বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালত এই বিষয়ে ছয়টি এমিসি কুরিয়া (আদালতের বন্ধু) এর আইনী মতামত শুনেছে।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, কামাল উল আলম, আবদুল মতিন খসরু, ফিদা এম কামাল, প্রবীর নিয়োগী ও ডাঃ শাহদিন মালিককে এই মামলায় অ্যামিসি কুরিয়া নিয়োগ করেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ এনামুল কবির ইমন ৮ ফেব্রুয়ারি রিটটি দাখিল করেন। আবেদনে আবেদনকারী হাইকোর্টের নির্দেশনা দিয়ে দেশে আল জাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এবং আল জাজিরার রিপোর্টের বিষয়বস্তু অপসারণের আদালতের আদেশের আবেদন করেন। ফেসবুক, ইউটিউব, এবং টুইটার সহ সমস্ত সামাজিক মিডিয়া থেকে আল জাজিরা যে পোস্ট দিয়েছে তা অপসারণের কথা বলা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই রিটে জবাবদিহি করা হয়েছে।
আল জাজিরা ১ ফেব্রুয়ারি এই প্রতিবেদনটি সম্প্রচার করে। সরকার এই প্রতিবেদনটিকে বাতিল ও মিথ্যা ও মানহানিকর এবং লন্ডনে এবং অন্য কোথাও কর্মরত চরমপন্থী ও তাদের মিত্রদের দ্বারা উস্কে দেওয়া যা একটি হতাশার বহিঃপ্রকাশ “স্মার অভিযান” বলে অভিহিত করে।#