অধিকার অর্জনে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদেরকে আরও যোগ্য হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে অধিকার অর্জনে দেশের নারীদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অধিকার অর্জন করতে হবে এবং অধিকার অর্জনে যথাযথ মানের প্রয়োজন। এই গুণগত মানটি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আসবে।”
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস-২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী মূলত তার সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে অুনষ্ঠাণে যোগদান করেন। শেখ হাসিনা নারীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, চিৎকার করে ও বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে কোনও অধিকার আদায় করা যায় না, বরং তা দক্ষতার ভিত্তিতে অর্জিত হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নারীদের জন্য বিনা খরচে প্রাথমিক শিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার এখন উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করছে যেখানে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী শিক্ষার্থী এই সুবিধা ভোগ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সমাজ গঠনে পুরুষ ও মহিলা উভয়কেই শিক্ষিত হওয়া দরকার।” যে কোনও অর্জনে নারীদের অবদান রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নারী-পুরুষকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমাদের আকাঙ্ক্ষা হলো নারী-পুরুষ উভয়ই সম্মিলিতভাবে এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে।”
আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস -২০২১ উপলক্ষে পাঁচজন সফল নারীকে ক্রেস্ট এবং অর্থ দিয়ে পুরষ্কৃত করা হয়। পুরষ্কার প্রাপ্তরা হলেন- হাসিনা বেগম নীলা, মিফতাহুল জান্নাত, মোসাম্মাত হেলেনেসা বেগম, রবিজান ও অঞ্জনা বালা বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা পাঁচ সফল নারীর হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। এই বছরের আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হ’ল “নেতৃত্বের ক্ষেত্রে মহিলা, কোভিড-১৯ বিশ্বে সমান ভবিষ্যত অর্জন।”
ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাইয়েদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং পুরষ্কার প্রাপ্ত মহিলাদের পক্ষে হাসিনা বেগম নীলা বক্তব্য রাখেন। একটি উদ্বোধনী গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির শুরু হয় এবং উক্ত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, মুজিব বর্ষ এবং মহিলা উন্নয়ন বিষয়ক একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।#